ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, জিয়াউর রহমান একজন ঠান্ডা মাথার খুনি। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে গ্রিন সিগনাল দিয়ে সৈন্য দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা যাও তোমরাই কর আমার আর ইশারার দরকার নেই। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকরীদের বিভিন্ন দুতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছেন। এছাড়াও সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদ বাতিল করে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের রাজনীতি করার, সংসদ সসদ্য হওয়ার ও ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
.
বুধবার রাতে টাঙ্গাইলে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে হানাদারমুক্ত দিবসের আলোচনায় সভায় তৃতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিশ্বের তিন নম্বর সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকায় রয়েছেন। সাথে আছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফের পরিবার। পানামা পেপারস থেকে প্যারাডাইস পেপারস পর্যন্ত সবগুলোতেই দুর্নীতির শীর্ষে রয়েছেন এজিয়া পরিবার। রয়েছে তারেক ও কোকোর নাম। এ থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। একথাগুলো আমাদের নয়, বলেছে কানাডার আদালত এবং সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আনা হয়েছে কোকোর টাকা। দুর্নীতিতে তাদের দুজনের মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে।
তারানা হালিম বলেন, এ প্রজন্মের এই ইতিহাস জানা দরকার যে, ১৯৪৭ সালে পাক ভারত দেশ বিভাগের আলোচনায় জিয়াউর রহমান নাই, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের জন্মের সময় জিয়াউর রহমান নাই, ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে জিয়াউর রহমান নাই, ১৯৭৪ যুক্ত ফ্রন্টের নির্বাচনের সময় জিয়াইর রহমান নাই, ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দেলনে জিয়া নাই, ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধে জিয়া নাই, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে জিয়া নাই, ১৯৪৭ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জিয়া নাই, ১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থানের জিয়া নাই, ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে জিয়া নাই, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিলেন তখন রেসকোস ময়দানে ১৪ গজের মধ্যে জিয়া নাই, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ যখন অপারেশন সার্চ লাইটে হানাদার বাহিনী ওপর ঝাপিয়ে পরেছিলো তখন জিয়া নাই, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু ইপিআর এর ওয়ারলেস থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করলেন তখনও জিয়া নাই।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন সফল রাজনৈতিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধের সময় অনেক বড় ভূমিকা রেখে গেছেন। তিনি মুক্তি যোদ্ধের সময় সে ভাষণ দিয়েছিলেন, আজ সেই ভাষণ বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। আমরা যারা রাজনীতি করছি তারা যদি বঙ্গবন্ধুর আদশ এবং তার ভাষণকে অনুসরণ করতে পারি তাহলে আমরা একজন সফল রাজনীতিক হতে পারবো। জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে একা একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯ বার তার জীবনের ওপর আঘাত এসেছে।
রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে কোন তুলনা হতে পারে না। আমরা বিএনপি অন্ধকার যুগে ছিলাম। আর সেই অন্ধকার থেকে আমাদের আলোর পথে নিয়ে এসেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা।
টাঙ্গাইল পৌর সভার মেয়র জামিলুর রহমানের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শহীদ বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লাহ কায়সারের কন্যা নাট্য ব্যক্তিত্ব সুমি কায়সার, এবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন