১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সাহায্য-সহযোগীতা ও বাঙালিদের উপর নির্যাতনের কারণে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে অভিযুক্ত হওয়ার পরেও দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে জামায়াতে ইসলাম। নিবন্ধন বাতিল হলেও বাতিল হয়নি জামায়াত। তাই জোটের হয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপির ব্যানারে লড়াইয়ের সুযোগ নিতে যাচ্ছে দলটির প্রার্থীরা।
আগামী নির্বাচনে সরাসরি অংশ নিতে না পারলেও বিএনপি নেতারা বলছেন ধানের শীষ প্রতীকেই ভোটে দাঁড়াবে জামায়াত ইসলাম। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা জামায়াতকে সাথে নিয়ে নির্বাচন করব।
একাত্তরে বাঙলি যখন পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণ দিয়ে লড়াই করছে তখন পাকিস্তানের টিক্কাখান আর নুরুল আমিনের সাথে বৈঠকে ব্যস্ত জামায়াত নেতা গোলাম আজম। ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে ডিসেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের ইতিহাসের পাতায় পাতায় দল হিসেবে নিজেদের যুদ্ধাপরাধের হাজার নজির রেখেছে জামায়াত। রাজাকার আলবদর বাহিনী গঠন বাঙালি নিধন ও দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধকে আমলে নিয়ে ২০১৩ সালে ২৫ মার্চ জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধীর দল হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্তের রিপোর্ট দেয় আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল।
এ সম্পর্কে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন,
একাত্তরে জামায়াত যে ভূমিকা পালন করেছে সেই অনুযায়ী তাদের দলকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে আদালত বিভিন্ন মামলাতে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে এবং উচ্চ আদালতে এই পর্যবেক্ষণগুলোর সিদ্ধান্ত অটুট থেকেছে। তাছাড়া জামায়াত ইসলামকে ইতিপূর্বে কয়েকবার অবৈধ করা হয়েছে। তাদের রাজনীতি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু বারংবার তারা রাজনীতির জায়গায় চলে আসে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জামায়াতের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের নির্বাচনের বিধিতে এমন কিছু থাকা দরকার যাতে তারা কখনোই যেনো নির্বাচন করতে না পারে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন