আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির দুর্নীতির কেচ্ছা কাহিনীর থলের বিড়াল মিউ করে বেরিয়ে আসছে। কাতার, সৌদি আরবের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হয়েছে। তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির রায়ও হয়েছে। বাংলাদেশের আদালতেও অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশগ্রহণের জন্য সাতক্ষীরায় যাওয়ার পথে যশোরের রাজারহাটে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ভাঙা রেকর্ড বাজতেই থাকে। তারা বলে গেল রে গেল, গণতন্ত্র গেল। গেল রে গেল, নির্বাচন গেল। আগে বলতো বাংলাদেশ ইন্ডিয়া হয়ে গেল। সেই পুরনো স্লোগান তারা বারবার দিচ্ছে।
বিএনপি অংশ নিলে আগামী নির্বাচন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে বলে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ না নিলে সুযোগ হাত ছাড়া করবে।
তিনি বলেন, বিএনপির এবার নির্বাচনে না আসার কোন সুযোগ নেই। নির্বাচনে তাদের আসতেই হবে। যদি তারা রাজনৈতিক অস্তিত্বকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে না চায়, তাহলে নির্বাচনে আসা তাদের জন্য জরুরি। তারা এটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না। কারণ তারা আরও সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুধু দুর্নীতি না কানাডার বিএনপির এক নেতাকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। তারা বলেছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের আশ্রয় দেয়া যাবে না।
কানাডা কি আমাদের সরকারের আদালত, নাকি সরকারি হস্তক্ষেপে এই রায় দিয়েছে কানাডা, প্রশ্ন রাখেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে একটি পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে ঢাকা শহরের কিলার গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছে বিএনপির সুইডেন প্রবাসী এক নেতা। দুই বছর আগে সুইডেনে পাঠিয়ে দেয়া ওই নেতা ঢাকা শহরের কিলার নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশে খুন গুমের সঙ্গে বিএনপি নেতার ওই কিলিং গ্রুপ জড়িত কি না ঘোরতর সন্দেহ হচ্ছে আমাদের।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, যশোর-২ আসনের এমপি মনিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলদার প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন