রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটযুদ্ধে সব প্রার্থীরা। এই ভোটযুদ্ধের মাঝেই চলছে দল বদলের মৃদু হাওয়া। রংপুর লাঙলের দুর্গ সেটা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। তবে সিটি নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীরাও নৌকায় পা রাখছেন।
রোববার সন্ধ্যায় নগরীর শাপলা চত্বরের এক পথসভা অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির রংপুর মহানগরীর কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে ৫ হাজারের বেশি কর্মী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর হাত ধরে দলটিতে যোগদান করেছেন।
জাতীয় পার্টির এরশাদ মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি লতিফ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম এবং বিএনপির রংপুর মহানগরীয় সহ-সভাপতি ফতেহ আলী যোগদান করেন নেতাকর্মীদের নিয়ে।
এসময় মেয়র প্রার্থী ঝন্টু বলেন, নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। আর সেই হাওয়ার জোয়ারে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা দলে দলে নৌকায় যোগদান করছেন। সেই জোয়ারে রসিক নির্বাচনে নৌকা জয়ী হওয়ার যে রব উঠেছে তা ভোটাররা প্রত্যক্ষভাবে অবলোকন করছেন। উন্নয়নের যে ধারাবিহকতার কথা বলছি, সেটার জন্যই মানুষ আবার নৌকাকে বেছে নেবে।
তিনি বলেন, সময় আরও আছে। ভবিষ্যতে আরও অনেকেই নৌকায় উঠবেন। নৌকা মার্কা উন্নয়নের বিশ্বাসী বলেই সবাই দলে দলে যোগদান করছেন।
এসময় যোগদান করা নেতাকর্মীরা নৌকা মার্কাকে এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আশ্বাস প্রদান করেন।
এবিষয়ে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিজু পরিবর্তন ডটকমকে জানান, এই সময়ে দলীয় নেতা কর্মীদের অন্যদলে যোগদান এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। ফতেহ আলীর মতো নেতার অন্যদলে যোগদান করা প্রত্যাশার বাইরে ছিল।
অবশ্য তিনি বলেন, অতীত ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে ফতেহ আলীর রাজনৈতিক চরিত্রের একটি অংশ দল বদল করা। অতীতে তিনি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ত্যাগ করেই বিএপিতে এসেছিলেন।
এতে রসিক নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে মিজু বলেন, দল থেকে চলে গেলেও রসিক নির্বাচনে এটার কোনো প্রভাবই পড়বেনা। কারণ নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। তার জন্য দলের সবাই নিবেদিত প্রাণ থাকবে এই নির্বাচনে।
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির এরশাদ আন্দোলনের দুই নেতার আওয়ামী লীগে যোগদান প্রসঙ্গে পার্টির মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক এইচএম ইয়াছির বলেন, ‘যারা আজকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন তারা আমাদের দলের কেউ না। দশ বছর ধরে দলের কোনো কমিটিতে নেই বললেই চলে। তাই তাদের নিয়ে ভাবার সময় নেই।’
আর তাদের চলে সিটি নির্বাচনে যাওয়ার কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি করেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন