তেপ্পান্ন বছরে পা দিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার তার ৫৩তম জন্মদিন। ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান।
.
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, স্বেচ্ছায় রক্তদান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোমবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচ তলায় ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (ড্যাব) এর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হবে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলাদল আলোচনার আয়োজন করেছে।
রোববার রাতে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জন্মদিন পালনের জন্য এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়ার ও দলের সিনিয়র নেতা উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, দেশের উৎপাদন-উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বাপ্নিক তারেক রহমানের ৫২তম জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।’
তিনি বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে তরুণ সমাজকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করে উন্নয়ন ও উৎপাদনের মধ্যে যুক্ত করলে দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে-এই চিন্তার ধারক-বাহক ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে তারেক রহমান সারাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। দেশের জনগোষ্ঠীর তৃণমূলে দীর্ঘদিনের অচলায়তন কাটিয়ে প্রাণসঞ্চার করেছিলেন তারেক রহমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘১/১১-তে মঈনউদ্দীন-ফখরুদ্দীনের অসাংবিধানিক সরকার তারেক রহমানকে নি:শেষ করার জন্য মামলা, শারীরিক নির্যাতন ও ক্রমাগত অপবাদ দ্বারা জর্জরিত করে। ‘যাদের আন্দোলনের ফসল ছিল ১/১১ সরকার তারা ক্ষমতায় এসেই তারেকের বিরুদ্ধে নানামূখী চক্রান্তে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়। অসংখ্য মামলা দিয়ে তাকে পর্যুদস্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় আওয়ামী সরকার। তবুও তারা তারেক রহমানকে দুর্বল করতে পারেনি।’
বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলে আবারও একদলীয় শাসনের নিষ্পেষণে সারাজাতিকে বন্দী করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দু:সময়ে তারেক রহমানের নিঃশংক মনোবল ও দৃঢ় নেতৃত্ব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করছে।’ তারেক রহমানের আশু সুস্থতা এবং সুখী ও দীর্ঘজীবন কামনা করেন ফখরুল।
এদিকে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে রোববার ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার (এন. আর. সি) কর্তৃক আয়োজিত ‘জননেতা’ শিরোনামে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস যোগ দেন।
১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলা বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তারেক রহমান । ২০০২ সালের ২২ জুন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নিযুক্ত করেন। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর দলের পঞ্চম কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০০৭ সালের ৭ মার্চ সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোডের বাসভবন থেকে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে। ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দীন সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট ১৪টি মামলা দিয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন