জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সেক্রেটারি আকরামুল হাসানকে অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার জুলুম-নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদলের এ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এটা কাপুরুষচিত কাজ। তাকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে অবৈধ সরকার ও প্রশাসন নিজেদের দেওলিয়াত্বের প্রকাশ করেছে।
ছাত্রনেতাদের প্রতি এমন অসদাচরণ ও দমন-পীড়ন করে সরকার দেশের রাজনীতিতে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে আকরামুল হাসানসহ ইতিপূর্বে গ্রেফতারকৃত ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সকল নেতাকর্মীদেরকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। ছাত্রনেতাদের প্রতি এমন অন্যায় আচরণ ছাত্রসমাজ মেনে নেবেনা। নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যতে এমন অন্যায় গ্রেপ্তার থেকে বিরত থাকতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরাম গ্রেপ্তার
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে এখন পল্টন থানায় রাখা হয়েছে।
ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত গ্রেপ্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অবৈধভাবে সরকারের পেটোয়া বাহীনি আন্দোলনের ভয়ে ভীত হয়ে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হয়রানি করে ছাত্রদলকে দমানো যাবে না।
এর আগে বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ির পেছন থেকে ছাত্রদলের ১২ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
সকাল ১১ টার দিকে রাজধানীর কদমফোয়ারা থেকে ১০ জন ও প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুজনকে আটক করা হয়। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০.৪৫টায় রাজধানীর বকশী বাজার আলীয়া মাদরাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতের উদ্দেশ্যে গুলশানের বাসা থেকে রওনা দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী গাড়ির পেছনে যাওয়ার সময় তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানান বিএনপির এক সিনিয়র নেতা।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
হাজিরা দিতে যাবেন খালেদা জিয়া
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আজ আদালতে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি গুলশানের বাসা থেকে রওনা হবেন।
রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হবেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন