নগরীতে প্রায় প্রতিদিনই মোবাইল, টাকা-পয়সা ছিনতাই করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। যাদের কাছে থাকে ছুরি-চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র। ফুটপাত, গলি কিংবা ফ্লাইওভার নিত্যনতুন কৌশলে সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করছে অপরাধীরা। গত ৩ বছরে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হয়েছেন ৩৬ জন। সময় টিভি
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় একজনকে কিছু ছিনতাইকারী আটকায়। এ সময় তাকে গলায় ছুরি দিয়ে টান দিয়ে তার কাছে যা ছিল, সব নিয়ে যায়। কয়েকজন বলেন, ছিনতাইকারীরা বেশির ভাগ সময় মেয়েদেরকে টার্গেট করে। সব দিয়ে দিতে বলে। না দিলে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পল্টনের ভেতরের যে রাস্তাগুলো আছে, সেগুলোতে সন্ধ্যা থেকেই লাইট বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তাকর্মীরা যদি আরও একটু দায়িত্বটা বাড়িয়ে দেয়, তবে আমরা হয়তো আরও একটু নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারব।
ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ১০ বছরে শাহবাগ, রমনা, মতিঝিল, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, ডেমরাসহ ১৫টি থানা এলাকায় ছিনতাই হয়েছে সবচেয়ে বেশি। আর ৩০টি স্থানকে ছিনতাইয়ের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশ টহল জোরদার করা হচ্ছে। বিশেষ করে গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় টহলে আছে। এটার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলো আমরা তদারকি করে এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
ভুক্তভোগী ও নগরবাসীর অভিযোগ, বেশির ভাগ সড়ক ও গলিতে আলোর ব্যবস্থা নেই। প্রধান সড়কের সিসিটিভি ক্যামেরাও অচল। ছিনতাইপ্রবণ স্পটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ও আলাদা টহলের দাবি বাসিন্দাদের।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন