একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ২০১০ ও ২০১৯ সালে দাহ্য পদার্থ্য থেকে অগ্নিকাণ্ডে মারা যায় ১৯৪ জন মানুষ। এরপরও আগের মতোই কেমিক্যালের সাথে বসবাস করছে মানুষ। টনক নড়েনি কেরো। এখনো বাসা বাড়িতেই মজুদ রাখা হচ্ছে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ্য। এতে যেকোনো সময় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। পরিবেশবাদীরা বলছেন, অচিরেই এসব কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে না নেওয়ায় হলে ঘটতে পারে চুড়িহাট্টার চেয়ে আরোও বড় ট্রেজেডি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পুরান ঢাকায় আনুমানিক ২৫ হাজার কেমিক্যাল গোডাউন বা কেমিক্যাল পণ্যের গুদাম রয়েছে। এসবের মধ্যে ১৫ হাজারই রয়েছে বাসা বাড়িতে। মাত্র আড়াই হাজার গুদামকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। বাকি ২২ হাজারের বেশি গুদামই অবৈধ। ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ ২০০ ধরনের রাসায়নিকের ব্যবসা চলে সেসব গুদামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায, পুরান ঢাকার এসব কেমিক্যাল গুদামে রয়েছে গ্লিসারিন, সোডিয়াম অ্যানহাইড্রোস, সোডিয়াম থায়োসালফেট, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, মিথাইল ইথাইল কাইটন, থিনার, আইসোপ্রোপাইলসহ ভয়ংকর রাসায়নিক দাহ্য পদার্থ। এসব রাসায়নিক পদার্থ আগুনের সামান্যতম সংস্পর্শ পেলেই ঘটতে পারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।
এদিকে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা অপসারণের জন্য টাস্কফোর্স গঠনসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাস্তবে তার প্রতিফলন তেমন একটা পড়েনি পুরান ঢাকায়। এখনো আগের মতোই দেদারছে চলছে কেমিক্যাল কারখানার ব্যবসা। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রয়ারি রাত ১০টার পর রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দ কুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা মসজিদের পাশে ওয়াহিদ ম্যানশনে আগুন লাগে। রাত ১টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে আগুন ভয়াবহ আকারে আশপাশের ৫টি বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি ইউনিট রাত ৩ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে পুড়ে অন্তত ৭০ জন নিহত হন। এর আগে ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন