চুড়িহাট্টার ভয়াবহ আগুনের ঘটনার পর থেকে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম অপসারণে অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এসব কেমিক্যাল গুদাম সরিয়ে কেরানীগঞ্জে নির্মাণাধীন কেমিক্যাল পল্লিতে স্থানান্তরের কথা থাকলেও ৩ মাসে তা বাস্তবায়ন হয়নি। পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গাতে এখনও রয়ে গেছে ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল গুদাম। বাংলা ট্রিবিউন
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় কেমিক্যাল বিস্ফোরণে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় ৭০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এর তিন মাস পরও পুরান ঢাকার বংশাল, বাবুবাজার, মিটফোর্ড, আরমানিটোলাসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন ভবনে রয়েছে কেমিক্যাল গুদাম। সরেজমিনে এসব এলাকার আবাসিক ভবনে গোপনে গোপনে গুদাম ভাড়া নিয়ে কেমিক্যাল রাখার চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ১১টার পর এখানে বড় বড় কন্টেইনারে করে কেমিক্যাল আনা হয়। ভোরের আগেই ভবনে কেমিক্যাল ঢুকিয়ে ঘরবাড়ি তালা দিয়ে দেওয়া হয়।
মিটফোর্ড রোডে একটি পারফিউমারি অ্যান্ড কেমিক্যাল দোকানসরেজমিনে বংশালের মাহুতটুলির ৭৫ নম্বর বাড়ির নিচে কেমিক্যালের দোকান ও বাড়ির ভেতর গুদাম পাওয়া গেছে। পাশের গলির ভেতর ৭৬ ও ৭৭ নম্বর বাড়ি দুটিতে প্রায় ৫০ জন বাসিন্দা থাকেন। এই ভবনের নিচতলায় একটি গুদাম রয়েছে। ৭৯ নম্বর বাড়ির পেছন দিয়ে গুদামে যাওয়ার জন্য আলাদা দরজা রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে দেখে কেউ বুঝবে না এসব বাড়িতে এখনও কেমিক্যাল গুদাম রয়েছে।
আরমানিটোলার শাবিস্তান হল গলি ও মিডফোর্ড রোডে গেলে নাকে ঝাঁপটা মারে কেমিক্যালের ঝাঁজালো গন্ধ। এখানকার আবাসিক ভবনগুলোর গুদামে কেমিক্যাল আনা-নেওয়া করতে দেখা যায়। তবে এই এলাকার প্রায় সব কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) দেখা গেছে।
সংবাদিকদের কাছে ছবি থাকলেও বংশাল এলাকায় কেমিক্যাল থাকার কথা অস্বীকার করেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কেমিক্যাল গুদামগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে বংশাল থানা এলাকায় কেমিক্যাল গুদাম নেই। তবে তারা কেমিক্যালগুলো কেরানীগঞ্জ বা অন্য কোথাও মজুদ করে। সেখান থেকে মাল সাপ্লাই করেন ব্যবসায়ীরা।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন