রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি বুথে মেয়র প্রার্থীর ব্যালটে ৩০ মিনিটে ৫৬ ভোট পড়েছে। যদিও ঐ বুথেই একই সময়ে কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর ব্যালটে ২৫ ভোট পড়ে। ভোট জালিয়াতি হচ্ছে এমন অভিযোগে সেখানে গেলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা লাঞ্ছিত করেছে এই প্রতিবেদককে।
সকাল থেকেই নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডের বিনোদপুর ইসলামীয়া কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ আসে। ওই ওয়ার্ডের ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট রবিউল ইসলাম অভিযোগ, তার প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট উজ্জ্বল, মেরাজ, রশীদ, মাসুদ ও ফিরোজ এজেন্টের দায়িত্ব পালন করতে কেন্দ্রে যায়। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাদের চড়-থাপ্পড় মেরে বের করে দেয়। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে সিল মারছে। মাত্র আধা ঘন্টার মধ্যে মেয়র পদের ব্যালটে পড়েছে ৫৬টি ভোট। ব্যালটের কয়েকটি অবশিষ্ট অংশে (মুড়ি) দেখা যায়নি ভোটদাতার টিপসই বা স্বাক্ষর। যদিও ওই বুথেই কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর ব্যালটে পড়েছে ২৫ ভোট।
পোলিং অফিসারদের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাদ্দামের নেতৃত্বে একদল জালিয়াতিকারী এই প্রতিবেদককে লাঞ্ছিত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল্লাহিল শফি বলেন, কোন অনিয়ম হচ্ছে না। শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এজেন্টেদের বের করে দেয়ার বিষয়ে তার কাছে কোনো অভিযোগ নেই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন