ঢাকায় কর্মীজীদের খাবার সরবরাহ করা হয় এমন একটি রেস্টুরেন্টে খাবার তৈরি হচ্ছে হাতের স্পর্শ ছাড়াই। মেশিনে তৈরি হলেও এখারে রান্না হবে বাঙালির পছন্দের ভাত, মাছ-মাংসের তরকারি বা নানা সবজির উপকরণ।
রাজধানীর কোটি মানুষের মধ্যে শ্রমজীবীদের একটি বিরাট অংশের মধ্যাহ্নভোজ করতে হয় বাসার বাইরে। ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর আর বেশি দামের কারণে সেই খাবারই তাদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষ করে রাজধানীর অফিস, আদালত ও ব্যাংকপাড়ার কর্মজীবী মানুষ মধ্যাহ্নভোজ করতে গিয়ে বেশিরভাগই বিপাকে পড়েন। তাদের এই ভোগান্তির কথা চিন্তা করেছেন এই শহরেরই একজন। তিনি আফরোজা খান। কর্মজীবী মানুষদের কাছে কম দামে স্বাস্থ্যকর গরম খাবার পৌঁছে দিতে তিনি তৈরি করেছেন খান’স কিচেন নামে একটি আধুনিক রান্নাঘর।
রাজধানীর কর্মজীবী মানুষদের দুপুরের খাবার নিয়ে ভোগান্তির কথা মাথায় রেখেই ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আবির্ভাব। সুলভ মূল্যে চটজলদি স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার পৌঁছে দিতে আধুনিক প্রযুক্তির এই রান্নাঘরে একসাথে কাজ করছে প্রায় তিন হাজার মানুষ। সম্পূর্ণ হাতের স্পর্শ ছাড়াই খাবার প্রস্তুত হচ্ছে মেশিনে।
রাজধানী ঢাকার নতুন বাজারের বেরাইদ এলাকায় ১৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে এটি। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ টনি খান প্রাতিষ্ঠানটির সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকবেন। বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দেখা পাওয়া যাবে এখানে। একসাথে লাখখানেক মানুষের রান্না হবে।
দুপুরের খাবারের প্রধান মেন্যু হিসেবে আছে- ভাত, ডাল, সবজি, মাছ বা মাংস। আর সাথে থাকবে ডেজার্টও।
খান'স কিচেনে খাবার তৈরিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে মূলত স্বাস্থ্যকর, জীবাণুমুক্ত ও সতেজ খাবার। এখানে রয়েছে সর্বশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি খাবার বাক্স, যা বাইরের আর্দ্রতা থেকে খাবারকে রাখবে সুরক্ষিত। এছাড়াও রয়েছে- সর্বোচ্চ মানের কাঁচামাল, কম্পিউটারাইজড ল্যাবরেটরি এবং নিজস্ব প্যাকেজিং ইউনিট। নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হবে রাজধানীর যে কোনও স্থানে।
খাবারের মূল্য ধরা হয়েছে ৯৫ টাকা। ১৬৫২০ নম্বরে ফোন করলেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে দুপুরের খাবার।
আপনার ভ্রমণ তালিকায় যুক্ত করতে পারেন এই বৃহৎ রান্নাঘরটি আর সময় সুযোগ করে এক বার দেখে আসতে পারেন সেখানকার রান্না যজ্ঞ।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন