শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই মিরপুরে মানুষের ভিড়। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ফুল নিয়ে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন হাজারো মানুষ। পুরো এলাকায় তৈরি হয় ভাবগম্ভীর পরিবেশ। কিন্তু শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলির আবহ ম্লান হয়ে যায় বেলা সাড়ে ১০টার কিছু পরে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শ্রদ্ধা জানিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পরপরই কয়েকশ মানুষ এসে লণ্ডভণ্ড করে দেয় সব পুষ্পার্ঘ্য।
৩০ সেকেন্ডে লোপাট মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সব ফুল
ফুল নিতে আসাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। সঙ্গে বয়স্ক নারীও ছিলেন কয়েকজন। সবারই উদ্দেশ্য, শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে দেওয়া ফুল দখল। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে দেখা যায় তারা একেকজন একাধিক ডালা নিয়ে পুরো এলাকা তছনছ করে দিয়ে দৌড়ে পালায়। ততক্ষণে স্মৃতিসৌধের বেদির সিঁড়িতে ডালা বানানোর কর্কশিট আর বেতের ছড়াছড়ি। পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে, ফুল নেই। একপাশে স্বেচ্ছাসেবকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে ঘটনার আকস্মিকতায় এবং সংখ্যায় কম হওয়ায় কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেননি তারা। এমনকি এ বিষয়ে কথা বলতেও রাজি হননি।
৩০ সেকেন্ডে লোপাট মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সব ফুল
ফুল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক শিশুকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ‘এ ফুল আমাদের লাগবে।’
৩০ সেকেন্ডে লোপাট মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সব ফুল
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এরা স্থানীয় কেউ না। এখান থেকে ফুল নিয়ে গিয়ে বিক্রি করবে। প্রতিবারেই নিয়ে যায়। কিন্তু এভাবে লুটেপুটে নেয়নি এর আগে। একটু বেলা বাড়ার পর নেয়।
দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিমুজ্জামান বলেন, `আমরা সেখানে সার্বক্ষণিক ছিলাম। সামনের অংশে বেশি জমা হওয়ায় ফুল স্মৃতিস্তম্ভের পেছনের দিকে সরিয়ে রাখা হয়। তবে সেখানে বিশৃঙ্খলার মতো তেমন কিছু হয়নি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন