গত ১৬ ডিসেম্বর সর্বশেষ বাফুফে ভবনে এসেছিলেন সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। ওই দিনই তিনি অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন রাজধানীর একটি হাসপাতালে। তারপর হৃদযন্ত্রে ব্লক ধরা পড়লে ওপেনহার্ট সার্জারি করান তিনি। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে কিছুদিন পর গিয়েছিলেন জার্মানিতে। সেখানে এক মাস থেকে মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন।
একদিন পরই তিনি আজ (বুধবার) এসেছিলেন বাফুফে ভবনে। দাপ্তরিক কাজের এক ফাঁকে বাফুফে সভাপতি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে।
সেখানে নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন সালাউদ্দিন। অপারেশন থিয়েটারে ঢোকার এবং দীর্ঘ প্রায় তিন মাস পর আবার বাফুফে ভবনে আসার অনুভূতির প্রসঙ্গও এসেছিল সে সময়। কথা বলেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন তাকে দেখতে বাসায় যাওয়ার পর কী কথা হয়েছিল তা নিয়েও।
সাম্প্রতিক সময় মেয়েদের ফুটবলে দুটি সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। এসব মিস করেছেন কি না এমন প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন নতুন জীবন পেয়ে কর্মস্থলে ফিরে আসা কাজী মো. সালাউদ্দিন।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার আগ্রহ প্রকাশ এবং বাফুফে থেকে তাকে পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর বিষয় নিয়ে।
হামজা এবং প্রবাসী ফুটবলার নিয়ে বাফুফে সভাপতির ভাবনা কি জানতে চাইলে কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রবাসী ফুটবলার আর হামজা চৌধুরীর বিষয়টা এক নয়। হামজার খেলার বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে তার ক্লাবের সিদ্ধান্তের ওপর। আমাদের অফিস তার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বাংলাদেশের জার্সিতে তার খেলতে হলে অনেক বিষয় আছে। হামজা খেলতে চাইলেই হবে না। সে খেলতে চাইলে তাকে অবশ্যই তার ক্লাবের অনুমতি নিতে হবে। তারপর হামজার চাহিদা কেমন সেটাও তো দেখতে হবে। আসলে এখানে অনেক কিছু আছে। হামজা খেলতে চাইলে কেন নেব না। আমরা তাকে সেধেই নেবো।’
কাজী মো. সালাউদ্দিনকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি কখনো কোথাও বলেছেন কি না যে, হামজা চৌধুরী বাংলাদেশে খেলতে চাইলে তাকে যোগ্যতার প্রমাণ করতে হবে? কাজী মো. সালাউদ্দিন তখন ওই সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন করেন ‘আচ্ছা বলেন, আমাকে দেখে কি পাগল মনে হয়? আমি তো ফুটবল খেলে এসেছি। হামজা বাংলাদেশে খেলতে চাইলে তাকে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে এ কথা কেউ যদি বলে তাহলে তো সে পাগল (হাসি)।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন