পাওয়ার প্লেতে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান নেই বাংলাদেশের। ওখানেই অসহায় আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত মিলেছিল, একশ করা নিয়েই সংশয় ছিল। কিন্তু রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ ছক্কার পসরা সাজিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। প্রত্যাশিতভাবে হেরেছে বাংলাদেশ, কিন্তু ব্যাটিং বিপর্যয়ের পরও দারুণ লড়াইয়ে গ্যালারি মাতিয়েছে তারা। ২৮ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে ২-১ এ সিরিজ জিতলো শ্রীলঙ্কা।
১০ ওভারে ৪২ রান করেছিল বাংলাদেশ, পড়ে গিয়েছিল ৬ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন রিশাদ ও মেহেদী। দুজনের ৪৪ রানের জুটি ছিল ৩১ বলের।
তারপর তাসকিনকে নিয়ে রিশাদ ২১ বলে ৪১ রান যোগ করে ফিরে যান। শেষ দিকে তাসকিন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারে ব্যবধান ৩০-এ নামিয়ে আনেন। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে তাকে থামতে হয়। ২১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩১ রান করে আউট হন তাসকিন, দাসুন শানাকার বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ক্যাচ হন। বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে।
থুসারার পঞ্চম শিকার শরিফুল
নুয়ান থুসারা পেয়ে গেলেন ৫ উইকেট। নিজের শেষ ওভারে শরিফুল ইসলামকে বিদায় করে প্রথমবার এই কীর্তি অর্জন করলেন শ্রীলঙ্কার পেসার। ২ বলে ৪ রান করে দাসুন শানাকাকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশি ব্যাটার। ১৩৪ রানে ৯ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। একই ম্যাচে হ্যাটট্রিক ও পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন থুসারা। ৪ ওভারে ২০ রান দেন তিনি।
রিভিউয়ে তাসকিন টিকলেও রিশাদের বিদায়
১৭তম ওভারে অষ্টম উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। মাহিশ ঠিকশানার বলে তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তাসকিন রিভিউ নেন, বল আউটসাইড লেগে পিচড হওয়ায় বেঁচে যান তাসকিন।
কিন্তু একই ওভারের পঞ্চম বলে আরেকটি বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন রিশাদ হোসেন। ৩০ বলে ৭ ছয়ে ৫৩ রান করে সাদিরা সামারাবিক্রমার ক্যাচ হন তিনি। এই জুটি ছিল ৪১ রানের। ১১৭ রানে আট উইকেট নেই বাংলাদেশের।
ছক্কা মেরে রিশাদের হাফ সেঞ্চুরি
দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি করলেন রিশাদ হোসেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে ফিফটির দেখা পান। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে ৭ ছক্কা মারেন তিনি।
এক ওভারে রিশাদের তিন ছক্কায় একশতে বাংলাদেশ
৭৬ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে নামেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম দুই বল ডট দিয়ে শেষ দুটিই চার মারেন তিনি।
১৫তম ওভারে ঝড় তোলেন রিশাদ হোসেন। মাহিশ ঠিকশানাকে তিনটি ছক্কা মেরে ১৮ রান আদায় করে নেন, তিনটিই কাউ কর্নার দিয়ে। তার ঝড়ো ইনিংসে গ্যালারি থেকে ভেসে আসে ‘রিশাদ, রিশাদ’। ওই ওভারেই বাংলাদেশের স্কোর একশ ছাড়িয়ে যায়।
হাসারাঙ্গার গুগলিতে মেহেদীর বিদায়
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা তার শেষ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট পেলেন। মেহেদী হাসান ও রিশাদ হোসেনের ইনিংস সর্বোচ্চ জুটি ভেঙে গেলো।
সপ্তম উইকেটে ৪৪ রান যোগ করেন মেহেদী ও রিশাদ। হাসারাঙ্গার গুগলিতে ২০ বলে ২টি চারে ১৯ রান করে বোল্ড হন মেহেদী।
জাকেরও হতাশ করলেন
জাকের আলীকে নিয়ে ভালো কিছুর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু দলের বিপদে হাল ধরতে পারলেন না বাংলাদেশি ব্যাটার। ১৩ বলে মাত্র ৪ রান করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার এলবিডব্লিউ হন তিনি। জাকের রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি। ৩২ রানে ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের। আর কোন উইকেট না হারিয়ে ১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪২ রান।
থুসারার আঘাতে পাওয়ার প্লেতে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ
পাওয়ার প্লেতে নুয়ান থুসারায় বাংলাদেশ দাঁড়াতেই পারেনি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে লিটন দাসকে (৭) দাসুন শানাকার ক্যাচ বানান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
পরের ওভারে বল হাতে নেন থুসারা। দ্বিতীয় বল থেকে টানা তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত (১), তাওহীদ হৃদয় (০) ও মাহমুদউল্লাহ (০) গোল্ডেন ডাক মারেন। হ্যাটট্রিক করার পরের ওভারে সৌম্য সরকারও বোল্ড হন। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫ রান করেছে তারা। লক্ষ্য ১৭৫ রানের।
থুসারার হ্যাটট্রিকে ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের
ম্যাথুজের ওভারে আম্পায়ার্স কলে রক্ষা পেলেও তৃতীয় ওভারে শেষ রক্ষা হয়নি লিটনের। ওভারটা ম্যাথুজেরই ছিল। কিন্তু গ্রোয়িনের চোটে এক বল করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। তার অসমাপ্ত ওভার শেষ করতে নামেন ধনাঞ্জয়া। একই ওভারের প্রথম বলে ডেভাবে অফ সাইডে সরে খেলতে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বলেও সেভাবে খেলতে গিয়ে বল উঠিয়ে ক্যাচ আউট হন লিটন। বিদায় নেন ৭ রানে। তার পর পাথিরানার বদলে খেলতে আসা নুয়ান থুসারার বোলিংয়ে তাসের ঘরে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তার হ্যাটট্রিকে ১৫ রানে হারায় ৪ উইকেট!
হ্যাটট্রিকের শুরুটা হয় ওভারের দ্বিতীয় বলে নাজমুল হোসেন শান্তকে বোল্ড করে। পরের বলে তাওহীদকেও বোল্ড করেন থুসারা। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য লেগ বিফোরে আউট হয়েছেন। তিন ব্যাটারের মধ্যে হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
আম্পায়ার্স কলে রক্ষা লিটনের
নতুন বলে শুরুটা করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। প্রথম বলেই লিটনকে পরাস্ত করেন তিনি। তার ভেতরে ঢুকে পড়া বল প্যাডে লাগলে আবেদন করে সফরকারীরা। আম্পায়ার সাড়া দেননি যদিও। শ্রীলঙ্কা পরে রিভিউ নিলে দেখা যায় বেলস উপড়ে গেলেও আম্পায়ার্স কলে রক্ষা পেয়েছেন লিটন।
সিরিজ জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৭৫ রান
শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ১৭৪/৭ (সামারাবিক্রমা ৭*; ধনাঞ্জয়া ডা সিলভা ৮, কামিন্দু ১২, হাসারাঙ্গা ১৫, আসালাঙ্কা ৩, কুশল মেন্ডিস ৮৬, ম্যাথুজ ১০, শানাকা ১৯)
সিলেটে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে কুশল মেন্ডিস যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে বড় স্কোরের আশায় ছিল শ্রীলঙ্কা। শুরুর ধাক্কার পর লঙ্কান এই ব্যাটারই শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করছিলেন। ডেথ ওভারে গিয়ে কুশল মেন্ডিসকে আউট করতে পারায় তাদের ৭ উইকেটে ১৭৪ রানে থামিয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের সর্বোচ্চ ও ক্যারিয়ার সেরা ৮৬ রান করা কুশল মেন্ডিসকে আউট করেছেন তাসকিন। তার পর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সফরকারীরা সেভাবে রান তুলতে পারেনি। শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কা ১৪ রান নিয়েছে। শেষ বলে দুই রান নিতে গিয়ে সপ্তম উইকেট হিসেবে আউট হয়েছেন শানাকা। তাতে সিরিজ জিততে স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১৭৫ রানের।
বাংলাদেশের হয়ে ২৫ রানে দুটি উইকেট নিয়ে সেরা বোলিং ছিল পেসার তাসকিন আহমেদের। ৩৫ রানে দুটি নিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনও। শরিফুল ২৮ রানে নিয়েছেন একটি। মোস্তাফিজ ১টি উইকেট নিলেও ভীষণ খরুচে ছিলেন। ৪৭ রান দিয়েছেন তিনি।
রিশাদের ঘূর্ণিতে ষষ্ঠ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা
কুশল মেন্ডিসের উইকেট তুলে নিয়ে ফের লড়াইয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। ১৮তম ওভারে খরুচে বোলিং করলেও ম্যাথুজকে সাজঘরে পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কার ষষ্ঠ উইকেট তুলে নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। ম্যাথুজ আউট হয়েছেন ১০ রানে।
কুশল মেন্ডিসকে ৮৬ রানে থামালেন তাসকিন
শ্রীলঙ্কা ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল কুশল মেন্ডিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। ১৭তম ওভারে নিজের শেষ স্পেলে এসেই তাকে ৮৬ রানে থামিয়ে লঙ্কান ইনিংসের ছন্দপতন ঘটান তাসকিন। পুল শট খেলতে গিয়ে কুশল ক্যাচ তুলে আউট হয়েছেন ৮৬ রানে। তার ৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৬টি ছয়।
মেন্ডিস ঝড়ো ব্যাটিং করলেও নড়বড়ে অপরপ্রান্ত
মেন্ডিস ঝড়ো ব্যাটিয়ে রানের চাকা সচল রাখলেও অপরপ্রান্ত নড়বড়ে করে রেখেছে বাংলাদেশ। হাসারাঙ্গার আউটের পর ক্রিজে নেমেছিলেন আসালাঙ্কা। এই অবস্থায় চড়াও হতে চেয়েছিলেন তিনি। শরিফুলের বলে ১৪.৪ ওভারে মেরে খেলতে গিয়েছিলেন। স্বভাবসুলভ পাওয়ারফুল ক্রস ব্যাটে মেরে খেলতে গিয়েই ডেকে আনেন বিপদ। বল টপ এজ হয়ে উঠে গেলে সেটি তালুবন্দী করতে ভুল করেননি মোস্তাফিজ। তাতে ৫ বলে মাত্র ৩ রানে আউট হয়েছেন লঙ্কান ব্যাটার।
৫৯ রানের জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ
শুরুতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বাংলাদেশের বোলারদের কাছ থেকে সেটা কেড়ে নিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই দ্রুত রান বাড়িয়ে নিচ্ছে লঙ্কান দল। ১২তম ওভারে ছাড়ায় দলের শত রান! এই সময় ৩৫ বলে ফিফটিও তুলে নেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসানাঙ্গা। ১৩তম ওভারে এসে ৫৯ রানের এই বিপজ্জনক জুটিটি ভেঙেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ১৫ রানে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন হাসারাঙ্গা। এর আগে ১২তম ওভারে কুশলকে আউটের সুযোগও এসেছিল। কিন্তু তার ক্যাচ নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরালেন রিশাদ
তাসকিনের ব্রেক থ্রুর পর উইকেট পাচ্ছিলো না বাংলাদেশ। সেটি করতে অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে আসেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। দ্বিতীয় বলে তাকে ছক্কা মেরে বসেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু এক বল পর কামিন্দুকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙে দেন তিনি। রিশাদকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে শরিফুলের হাতে তালুবন্দি হয়েছেন ১২ রানে। কামিন্দুর ১২ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার। তবে অপরপ্রান্তে কুশল মেন্ডিস ঠিকই চড়াও হয়ে খেলছেন।
পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪১
পাওয়ার প্লেতে সফল ছিল বাংলাদেশ। কুশল মেন্ডিস রান তোলার চেষ্টা করলেও তাদের বেশি দূর যেতে দেননি স্বাগতিক বোলাররা।
তাসকিনের আঘাতে পড়লো প্রথম উইকেট
প্রথম ওভারে শরিফুলের গতি ঝড়ের পর কিছুটা হাত খোলার চেষ্টায় ছিলেন দুই ওপেনার। তাতে রান যোগ করতে সফলও হন তারা। চতুর্থ ওভারে এসে ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন। তার গুড লেংথের বলে শট খেলার চেষ্টা করলে ক্যাচ উঠে যায় তাতে। মিড উইকেটে তার ক্যাচ নিতে কোনও ভুল হয়নি সৌম্যর। ফেরার আগে ধনাঞ্জয়া এক চারে ৮ রানে ফিরেছেন।
প্রথম ওভারে রিভিউ হারালো বাংলাদেশ
প্রথম ওভারে দারুণ বোলিংয়ে লঙ্কানদের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন শরিফুল। শেষ তিন বলেই পরাস্ত হন ধনাঞ্জয়া। শেষ বলে অবশ্য লেগ বিফোরের আবেদনও ওঠে। আম্পায়ার শুরুতে সাড়া দেননি যদিও। পরে দেখা গেছে, শরিফুলের বাউন্স করা বলটি উইকেট মিস করেছে। তাতে নষ্ট হয়েছে প্রথম রিভিউ!
অপরিবর্তিত বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার একাদশে তিনটি পরিবর্তন
ইতিহাস গড়ার হাতছানিতে বাংলাদেশ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলছে। শ্রীলঙ্কা একাদশে পরিবর্তন এনেছে তিনটি। চোট নিয়ে পাথিরানা ছিটকে যাওয়ায় তার জায়গায় এসেছেন থুশারা। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নিয়মিত অধিনায়ক হাসারাঙ্গা আসায় বাদ পড়েছেন মাদুশাঙ্কা। বাজে ফর্মে আভিষ্কা ফার্নান্ডো বাদ পড়েছেন। তার জায়গায় এসেছেন ধনাঞ্জয়া। .
বাংলাদেশ একাদশ:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন ও জাকের আলী।
শ্রীলঙ্কা একাদশ:
ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (অধিনায়ক), মাহিশ থিকশানা, বিনুরা ফার্নান্ডো, নুয়ান থুশারা।
টসের মুহূর্তের দৃশ্য। ছবি-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের ফেসবুক থেকে।
টসের মুহূর্তের দৃশ্য। ছবি-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের ফেসবুক থেকে।
সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতেছে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা তৃতীয়বারের মতো টস জিতেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে তারা বোলিং নিয়েছে। আগের দুই ম্যাচেও বাংলাদেশ টস জিতে বোলিং নিয়েছিল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হাড্ডহাড্ডি লড়াই হলেও স্বাগতিক দল পরাজিত হয় মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য দাপট দেখিয়ে তারা ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে। সিরিজে এখন ১-১ সমতা। এই ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ ইতিহাস তৈরি করবে। কারণ, লঙ্কানদের বিপক্ষে কখনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়নি লাল-সবুজরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন