রানপ্রসবা সিলেটে স্কোরকার্ড বড় হবে তা অনেকটাই আন্দাজ করা গিয়েছিল। গত দুই ম্যাচের ব্যতিক্রম হয়নি আজও। আগে ব্যাট করা লঙ্কানরাও পেল তাই বড় সংগ্রহ। কুশল মেন্ডিসের ক্যারিয়ার সেরা ৮৬ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ১৭৪ রান তুলেছে তারা। ফলে সিরিজ জিততে হলে ১৭৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
শনিবার (৯ মার্চ) টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করে শ্রীলঙ্কা। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান এলেও ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। সিরিজে প্রথমবার মাঠে নেমে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ফেরেন ১২ বলে ৮ রান করে। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুই মেন্ডিস চোখ রাঙাতে শুরু করেন টাইগারদের। যদিও যুগলবন্দী বড় হতে দেননি রিশাদ।
ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই রিশাদ ফেরান কামিন্দু মেন্ডিসকে। ১২ বলে ১২ রানে সাজঘরের পথ ধরেন এই ব্যাটার। তবে ততক্ষণে হাত খুলতে শুরু করেন কুশল মেন্ডিস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাসারাঙ্গাকে নিয়ে যোগ করেন ৩৩ বলে ৫৯ রান। যেখানে হাসারাঙ্গার মোটে ১৩ বলে ১৫।
একপ্রান্তে যখন আসা-যাওয়া লেগে আছে, অন্য প্রান্ত থেকে বোলারদের নাভিশ্বাস তুলছিলেন কুশল মেন্ডিস। ভয়ংকর রূপ ধারণ করে রান বাড়াচ্ছিলেন অনায়াসে। একটা সময় মনে হচ্ছিলো হয়তো শতকও ছুঁয়ে ফেলবেন। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি, ১৪ রান দূরে থাকতেই থাকতেই থামতে হয় তাকে।
১৬.৫ ওভারে তাসকিন আহমেদের শিকার হলে শেষ হয় মেন্ডিস ঝড়। আউট হওয়ার আগে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ৫৫ বলে ৮৬ রানের ইনিংস। পরের ওভারে ফেরেন এঞ্জেলা ম্যাথিউসও (১০)। মাঝে চারিথ আসালাঙ্কা ফেরেন ৩ রানে। ১৮ ওভার শেষে ১৫২ রানে ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
কুশল ফিরলেও শেষ দিকে রানের গতি ধরে রাখেন দাসুন শানাকা। তার ৯ বলে ঝড়ো ১৯ ও সামারাবিক্রমার অপরাজিত ৭ রানে ১৭৪ পর্যন্ত পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা।
তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন নেন জোড়া উইকেট।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন