মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের ঘরের মাঠ আলফ্রেড ডি স্টেফানোতে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। এমন হারে মাদ্রিদ ডার্বির কাছে লা লিগায় পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে স্থান হারিয়েছে রোমান্ড কুনালের দল। তবে এমন হারের কারণ হিসেবে দুটি পেনাল্টি না পাওয়াকে দায় চাপাচ্ছে বার্সা কোচ।
লা লিগায় ৩০ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৬৬। এক ম্যাচ কম খেলে আতলেটিকো মাদ্রিদেরও সমান পয়েন্ট। কিন্তু হেড টু হেডে এগিয়ে থেকে জিনেদিন জিদানের দল সবার ওপরে জায়গা করে নিয়েছে। বার্সেলোনা ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে।
রিয়ালের পরিচিত আলফ্রেদো দি স্তেফানো চেনা মাঠে শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য বেনজামারা। মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্লাসিকোর শুরুতেই আধিপত্য বিস্তার করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে লুকাসের অ্যাসিস্টে দুর্দান্ত সাইড ফ্লিকে বল জালে জড়ান ফরাসি ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা।
লিড নিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে জিদান বাহিনী। ২৮ মিনিটে বকসে ঢোকার মুহূর্তে ভিনিসুয়াস জুনিয়রকে বাধা দেন রোনাল্দ আরজু। ফ্রি-কিক থেকে টনি ক্রুজের শট ডিফেন্ডার দেস্তের শরীরে লেগে গোললাইনে থাকা জর্দি আলবা হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে জালেই জড়িয়ে দেন! স্কোর লাইন দাঁড়ায় ২-০।
৩৪ মিনিটে ভালভার্দের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে ব্যবধান ৩-০ করা হয়নি। প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে বিরতির পর ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল বার্সেলোনা। ঘুরে দাড়িয়ে একটি গোলও শোধ করেছিল কোম্যানের দল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে টানা দুটি এল ক্লাসিকোতে হারের স্বাদ নিতে হলো তাদের।
এবারের লা লিগায় দুটি ক্লাসিকোই জিতল মাদ্রিদের দলটি। গত অক্টোবরে কাম্প নউয়ে ৩-১ গোলে জিতেছিল তারা। ৪৩ বছর পর বার্সেলোনার বিপক্ষে টানা তিনটি ম্যাচ জিতল রিয়াল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এর আগে টানা তিনটি ম্যাচ তারা জিতেছিল ১৯৭৮ সালে, সেবার সবগুলোই লা লিগায়।
বার্সেলোনা টানা ১৯ ম্যাচে অপরাজিত থেকে মাদ্রিদের আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছিল। ডাচ কোচ কোম্যানের অধীনে এই নিয়ে দ্বিতীয় এল ক্লাসিকো ম্যাচ। ৩১ বছরের মধ্যে প্রথম কোন বার্সা কোচ টানা দুটি ম্যাচ হার দেখলো।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন