২০১৭ সালে হঠাৎ বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে নেইমারের যোগ দেয়ার কারণে বিস্মিত হয়েছিল ফুটবল বিশ্ব। সেই বিস্মিত হওয়া যে কতটা সঠিক, তা বোঝা যায় দুই মৌসুম পরই নেইমারের আবার বার্সায় ফেরার ইচ্ছার কথা শুনে। গত মৌসুমে তো বার্সায় প্রায় চলেই গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আর্থিক বিষয়ে বার্সার সঙ্গে পিএসজির বনিবনা না হওয়ায় আর যাওয়া হয়নি।
বাধ্য হয়ে থেকে যেতে হলো পিএসজিতেই। কিন্তু পারফরম্যান্স তো আর হারিয়ে ফেলেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা। ঠিকই কোয়ার্টার ফাইনালে ঝলসে উঠলেন তিনি। অসাধারণ ফুটবল খেললেন। একের পর এক গোলের চেষ্টা করে গেলেন। দুর্ভাগ্য, প্রতিটি চেষ্টাই মিস হয়েছে তার।
তবুও শেষ মুহূর্তের যে নাটকীয়তায় পিএসজি জয় পেয়েছে, সেই নাটকীয়তার মূল অনুঘটকই ছিলেন নেইমার। ইনজুরির কারণে প্রথমার্ধে মাঠে নামতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপে। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপেকে মাঠে নামানোর কারণে খেলার গতি পরিবর্তন হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে সেই গতিতেই উড়ে যায় আটলান্টা।
মার্কুইনহোস এবং এরিক ম্যাক্সিমের গোলে প্রত্যক্ষ অবদান ছিল নেইমারের। মোট কথা, পিএসজির জয়ের মূল রূপকারই ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। সঙ্গে কিলিয়ান এমবাপে যোগ হওয়ায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে পিএসজি।
এমন একটি জয় এবং প্রথমবারেরমত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পিএসজি। সুতরাং, ক্লাবটির মালিক নাসের আল খেলাইফি ম্যাচের পর আরএমসি স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘নেইমার এবং কিলিয়ান হচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। নেইমার হচ্ছেন বিশ্বের সেরা তিনজনের একজন। সে এই ম্যাচের সেরা। ম্যান অব দ্য ম্যাচ। নেইমার গ্রেট।’
এরপরক্ষণেই আল খেলাইফি জানিয়ে দেন, তারা কখনোই নেইমার আর এমবাপেকে ছাড়বেন না। তিনি বলেন, ‘নেইমার এবং এমবাপে কখনোই পিএসজি ছেড়ে যাবে না। তাদেরকে আমরা ছেড়ে দেবো না। তারা পিএসজিতেই থাকবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সব সময়ই পিএসজির জন্য একটি ধাঁধাঁ। নক আউট রাউন্ডে গিয়ে সব সময়ই তাদেরকে বিদায় নিতে হয়। সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনাল। এরপর আর এগুতেই পারে না। এই প্রথম ১৯৯৫ সালের পর তারা শেষ চারে উঠলো।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন