ম্যাচের পুরোটা সময়ই ক্যামেরার আলো কেড়ে নিয়েছেন নিজের দিকে। ছিলেন দারুণ আক্রমণাত্মক। প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে নেয়ার সুযোগও পেয়েছিলেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু প্রতিবারই যেন সুযোগটা ধরা দিয়েও হাত ফসকে যাচ্ছিল।
শেষ পর্যন্ত নিজে গোলের দেখা না পেলেও সতীর্থকে দিয়ে গোল করিয়েই প্রতিপক্ষের স্বপ্নভঙ্গ করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার নেইমার জুনিয়র। আর তাতে করে দুই যুগেরও বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠতে পেরেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি)।
২৬ মিনিটে পিছিয়ে পড়া পিএসজি শিবিরে যখন টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের বিষাদ ছায়া ফেলছিল, ঠিক তখনই ত্রাতা হয়ে সামনে এলেন নেইমার। ম্যাচের ৯০ মিনিটে তার বাড়ানো বলে আরেক ব্রাজিলিয়ান মার্কোনিওস গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। এর ৩ মিনিট পরই অতিরিক্ত সময়ে ফ্রেঞ্জ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের অ্যাসিস্টে চুপো-মোটিংয়ের গোল মুহূর্তে পিএসজিকে উল্লাসে ভাসায়।
মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাকে টার্গেটে রেখেই বছর তিনেক আগে বার্সেলোনার কাছ থেকে নেইমারকে ছিনিয়ে নিয়েছিল পিএসজি। কিন্তু গত দুই মৌসুমেই লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইনজুরি নিয়ে সাইড বেঞ্চে থাকতে হয়েছে তাকে। এবার তাই ফিটনেস ধরে রেখেই মাঠে নামেন নেইমার।
তবে বুধবার রাতে আটালান্টার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটিতে ৮৯ মিনিটেও ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা নেইমারের মনে আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়নি। একবারের জন্যও তিনি বাদ পড়ার চিন্তা করেননি।
পিছিয়ে শেষে শেষ মুহূর্তে দলের নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে নেইমার বলেন, ‘আমরা কখনও বাদ পড়ার কথা ভাবিনি। এমনকি গা গরমের সময়ও। এক মুহূর্তের জন্যই ভাবিনি, বাদ পড়তে হবে। ফাইনালে উঠার ইচ্ছেটা কেউ আমার মন থেকে সরাতে পারেনি। তবে মানসিকভাবে ভীষণ চাপ গেছে। অসাধারণ একটা ম্যাচ ছিল, কঠিন হলেও আমরা দেরিতে ফল পেয়েছি।’
১৯৯৫ সালের পর ফাইনালে পা রাখা পিএসজি এবার কিছু একটা করে দেখাতে মরিয়া। আজ রাতে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও লাইপজিগের মধ্যকার ম্যাচে বিজয়ী দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে নেইমারের দল।
সেমিফাইনালেও জমজমাট লড়াই অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন নেইমার। বলেন, ‘আগেই বলেছি, আমাদের দলটা দুর্দান্ত। আমরা জানি, এমন মানসিক অবস্থায় কেউ আমাদের ছিটকে ফেলতে পারবে না। সেমিতেও আমরা প্রস্তুত হয়েই মাঠে নামবো।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন