টেস্টে জয়ই বাংলাদেশের জন্য ‘আমাবশ্যার চাঁদ’। সেখানে ইনিংস ব্যবধানে জয় বড় পাওয়াও বটে। টেস্টে দুই দশকের পথচলায় ইনিংস ব্যবধানে জয় পেয়েছে মাত্র দুইবার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানের জয়ে তাই বাংলাদেশ দল কিংবা ভক্তদের উচ্ছ্বসিত হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক কিংবা দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম জয়টাকে কেবল 'আত্মবিশ্বাস' পাওয়ার বলে মনে করছেন।
বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ জয় দুটিই অবশ্য এসেছে ইনিংস ব্যবধানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইনিংস ও ১৮৪ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। পরের ছয় টেস্টেই হেরেছে বাংলাদেশ। যার পাঁচটি ছিলো ইনিংস পরাজয়। এই ছয় টেস্টে আবার দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিন অধিনায়ক।
হারের বৃত্তে থাকা দল ঘরের মাঠে জিতলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে তা নিয়ে উচ্ছ্বাস নেয় দলের। তৃতীয় দিন দলের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। এরপর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল। মুশফিকের ট্রিপল সেঞ্চুরির চেষ্টা বৃথা যাওয়ায় তার আক্ষেপ আছে। আবার সংবাদিকদের তার তিন ডাবল সেঞ্চুরির মধ্যে এটাকেই সবচেয়ে 'সহজ' বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরপর ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া মুশফিক বললেন, 'দল হিসেবে আমাদের একটা জয় খুবই দরকার ছিল। শেষ পাঁচ-ছয় ম্যাচে আমরা দল হিসেবে খেলতে পারেনি। এই জয় আমাদের তাই আত্মবিশ্বাস দেবে। আমরা বোলিং-ব্যাটিং ও ফিল্ডিং; তিন বিভাগেই ভালো করেছি। আশা করছি এই জয় আমাদের সামনের ম্যাচে সাহস জোগাবে।'
অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুল হকের এটা চতুর্থ টেস্ট। নেতৃত্বের শুরুর তিন ম্যাচেই মুমিনুল হক দলের ইনিংস ব্যবধানে হার দেখেছেন। তারপরও নেতৃত্বের শুরুটা তার খারাপ হয়েছে মানতে নারাজ তিনি। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলকে ইনিংস ব্যবধানে জয় এনে দিয়ে মুমিনুল স্বীকার করলেন, তার দলের আরও ম্যাচ জিততে হবে।
মুমিনুল বলেন, 'এই জয়ে দলের সবাই আত্মবিশ্বাস পাবে। নাঈম খুবই ভালো পারফরম্যান্স করেছে। এমনকি শান্তও। তবে দিন শেষে এটা আমাদের দলগত পারফরম্যান্স। আমি চেয়েছিলাম বড় একটা ইনিংস খেলতে এবং দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি। আশা করছি ওয়ানডে সিরিজও আমরা জিতবো। ওয়ানডে দলের জন্য শুভকামনা।'
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন