ইনিংস পরাজয় এড়াতে জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ২৯৫ রান। ইতোমধ্যে ১১৪ রান তুলতেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরেছেন। আরও দরকার ১৮১ রান। হাতে আছে মাত্র ৫টি উইকেট। স্বীকৃতি ব্যাটসম্যান বলতে এখন উইকেটে আছেন সিকান্দার রাজা, তাকে যতটা সম্ভব সঙ্গ দিতে চাইবেন তরুণ ক্রিকেটার টিমিকেন মারুমা। কিন্তু মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলটা যেভাবে শেষ করেছিল চতুর্থ দিনের সকালটা ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে অধিনায়ক মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা। ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে সোমবার শেষ বিকেলে শূণ্য রানে ২ উইকেট হারিয়ে মানসিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে সফরকারীরা। তৃতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই ঘূণি মায়ায় সফরকারীদের দুই উইকেট তুলে নেন নাঈম হাসান। প্রথম ইনিংসে ৬৪ রান করা মাসভাউরে ও অলরাউন্ডার তিরিপানোকে ফেরান এই অফস্পিনার।
মঙ্গলবার টেস্টের চতুর্থ দিন সকালেও তথৈবচ। ২ উইকেটে ৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়ে দলীয় ১৪ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট। তাইজুল ইসলামের বলে মিঠুনের হাতে তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ১০ রান করা অপেনার কেভিন কাসুজা। দলীয় ৪৪ রানে নাঈমের তৃতীয় শিকার হন ১৭ রান করা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর। প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকানো ক্রেইগ আরভিন ৪৩ রান করে রান আউটের ফাঁদে পা দেন।
এর আগে মুশফিকের ২০৩*, মুমিনুলের ১৩২, শান্তর ৭১ ও লিটন দাসের ৫৩ রানে ভর করে ৫৬০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
৬ টেস্ট ও ১৪ মাস পর মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১১১ রানে অলআউট করে ৩৯৭ রানের লিড নিয়েছিল টাইগাররা। সেই ম্যাচটি জিতেছিল ইনিংস ব্যবধানে। এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে ২ ম্যাচ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্ট, ভারত ও পাকিস্তান সফরে তিন টেস্টে একবারও লিড পায়নি বাংলাদেশ। বরং ওই ছয় টেস্টেই বরণ করতে হয়েছে লজ্জার হার। তাই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। এবার সুদে-আসলে নিজেদের ফিরে পাওয়ার পালা।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন