ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তার ব্যাটের ওপর নির্ভর করে জয়-পরাজয়ের গল্প। ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টে তিনি একাই লড়েছিলেন। গোটা দল যখন ফিকে তখন তিনি একাই পেয়েছিলেন দুটো হাফসেঞ্চুরি। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে দেখা পেলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে তিনিই এখন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক।
ডাবল সেঞ্চুরির পরেই তাকে দেখা গেছে বুনো উদযাপনে। কিন্তু কার উদ্দেশে ছিল এই উদযাপন? আজ তৃতীয় দিন শেষে এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন,‘আমি আসলে আগে থেকে এ রকম করে কোনো কিছু চিন্তা করিনি। করার পরে ভাবলাম যে আমার ছেলে ডাইনোসরের খুব বড় ফ্যান। ডাইনোসর দেখলেই উদযাপন করে। সেটাই দেখনোর চেষ্টা করছি।'
মুশফিক ঠিক ১০ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। বাংলাদেশও এই টেস্টের আগে ১০ ইনিংসে সেঞ্চুরি খরায় ভুগছিল। এর আগে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ক্যারিয়ার সেরা ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। আজ সোমমার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে আবারও একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ডাবলে রূপ দিলেন। মোট ৩১৫ বলে ৪৩৪ মিনিটে ২৮টি চারের মারে তিনি ডাবল সেঞ্চুরি করেন। এরপরই বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে।
মুশফিকের ৯৯ রানের মাথায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফেরার পর দ্বিতীয় ওভারে এনডলবুকে চার হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির মাইলফলক অর্জন করেন। মুশফিককে চাপে ফেলতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক দুজন বাদে সবাইকে নিয়ে আসেন বৃত্তের ভেতরে। ৯৫ থেকে ৯৯ রানে এসেছিলেন চার মেরে, ১০০ রানের ঘর ছুঁতে ৯ বল খেলেন মুশফিক। ১৬০ বলে ২৩০ মিনিটে ১৮টি চারের মারে ১০০ রান করেন বাংলাদেশের এই ব্যাটিং স্তম্ভ।
১৫০ রানও পূর্ণ করেন চার মেরে। ২৫৪ বলে নাইউচিকে চার মেরে এই রান করেন। ১৫০ থেকে ২০০ রান করতে মুশফিক বল খেলেন মাত্র ৬১ টি।
এর আগে সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০১৮ সালে এই মাঠেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২১৯ রানের ইনিংস। এটি এখন পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
মুশফিক প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এ ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪০৮ রানের রেকর্ডটিও এখন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ঝুলিতে। তার পরেই ৪৪০৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন তামিম ইকবাল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন