সংকটময় বাংলাদেশিদের জন্য সার্বজনীন এক উৎসব হলো ক্রিকেট। জাতীয় দলের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও নজর রাখেন দেশের ক্রিকেট ভক্তরা। আর তাতেই তো প্রাণ পায় দেশের ক্রিকেট। ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তো ভক্তদের কাছে এক অন্যরকম আবেদন। কিন্তু এবার যেনো মুখ থুবড়ে পড়তে যাচ্ছে বিপিএল। প্রশ্ন উঠতে পারে কেন এমন বলছি? যদি বিপিএলের উদ্বোধন অনুষ্ঠান পরবর্তী সময়ে আপনি সামাজিক মাধ্যমে ঢুঁ মারেন তবেই দেখতে পারবেন। ভক্তরা আসলেই বিপিএল নিয়ে হতাশ।
গত ৮ ডিসেম্বরের উদ্বোধনীতে পুরো অনুষ্ঠানে রঙের কোনো অভাব ছিলো না। অনুষ্ঠান জমকালো করতে আয়োজনের কোনো কমতিও রাখেনি বিপিএল গভর্নিংবডি। তবে পুরো অনুষ্ঠানে ছিলো না জৌলুস। ছিলো না দর্শক টানার মতো আকর্ষণ। নিষ্প্রাণ উপস্থাপনা আর বিদেশি অতিথিদের প্রাধান্য থাকায় ব্যথিত হয়েছে ভক্তমহল।
ক্রিকেট আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলো না ক্রিকেট সংক্রান্ত আলোচনা। আসরে অংশ নেয়া দলগুলোর পরিচিত কিংবা দলগুলোর সেনাপতিদের একটু মঞ্চে ডেকে আনা। কিংবা সাবেক কোনো কিংবদন্তীকেও উপস্থিত করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবক বিসিবি।
সামাজিক মাধ্যমে তাই ক্ষোভ ঝেড়েছেন ভক্তরা। বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গকৃত বাংলাদেশের টুর্নামেন্টে ভারতীয় তারকার পরিচয় হিন্দি ভাষায় লেখা হওয়ায় আরেকটু তেতে উঠেছেন তারা। দেশের সাবেক ক্রিকেটারদেরও ডাকা হয়নি মঞ্চে কিংবা অনুষ্ঠানে। কবির ভাষায়-
বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে, বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে,
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শীষের উপর একটি শিশির বিন্দু।
দেশের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপিকে দেখা যায় না কখনো। তাকে কি একটু ডাকা যেতো না? সাবেক অধিনায়কদের কি আমন্তণ করলে খুব ক্ষতি হতো? প্রতিটা দলের অধিনায়কদের একই সারিতে দাঁড় করিয়ে পরিচিতি করালে সময়টা কি কয়েক ঘণ্টা লেগে যেতো? আরেকটু ভালো মানের উপস্থাপনা করতে গেলে খরচ কতটুকুই বা বাড়তো! বিদেশি কোনো কিংবদন্তী ক্রিকেটারকে মঞ্চে এনে একটু তালিম দিতে বললে কি মান যেতো? হয়তো বা না। তবুও বিপিএল কর্তৃপক্ষ এটা না করায় খুব ব্যথিত হয়েছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন