ক্রিকেটারদের দেওয়া ১১ দফা দাবিকে যৌক্তিক বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিকায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তিনি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক।’
আজ মঙ্গলবার খালেদ মাসুদ পাইলট আমাদের সময় অনলাইনকে মুঠোফোনে বলেন, ‘এটা তাদের ন্যায্য পাওনা দাবি। কিন্তু বিসিবির উচিত হয়নি এমন কঠোর হওয়া। বিসিবির এটা ভুল হইসে। সবাই তো আর সাকিব-তামিম হতে পারবে না। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে টাকাটা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। খেলোয়াড়দের রুটি-রুজি এটাই।’
পাইলট আরও বলেন, ‘আমি মনে করি বিসিবি সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে। পাপন ভাই ভালো মানুষ, তাকে কিছু ভুল মানুষ বোঝাচ্ছে যে ক্রিকেটারদের দেখে নেন।’
এর আগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে বিসিবি। বিসিবি কার্যালয়ে সভাপতির নেতৃত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। দিনের শুরু থেকেই এক এক করে পরিচালকরা আসতে থাকেন। দুপুর ১টার পর আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এরপর শুরু হয় বিসিবির বৈঠক।
বৈঠকের পর পাপন ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, ‘খেলোয়াড়রা যদি খেলতে না চায় তারা খেলবে না। এতে তাদের কী বেনিফিট আমি বুঝি না। দুইদিন পর ক্যাম্প, তারা আসতে চাইলে আসবে। ভারতে যদি যেতে চায় তাহলে যাবে।’
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘টাকার জন্য ধর্মঘটে ক্রিকেটাররা, এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। ধর্মঘটের পেছনে কোনো কারণ আছে। এগুলো একটা পরিকল্পনানার অংশ। ক্রিকেটের ইমেজ নষ্ট করতে তারা সফল হয়েছে।’
সাবিকরা ফোন ধরছেন না জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তারা আসে নাই, তারা ফোনও ধরছে না।’
এরও আগে গতকাল সোমবার মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররাও। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারিশ্রমিক বাড়ানো, ক্রিকেটারদের প্রতি বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো, কোয়াবের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির পদত্যাগসহ মোট ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন