দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার এরাসমাসের ভুল সিদ্ধান্তে রস টেইলরের আউট ও ওভার থ্রো’তে লঙ্কান আম্পায়ার ধর্মসেনার ইংল্যান্ডকে ৫ রানের জায়গায় ৬ রান দিয়ে দেয়ার বিতর্ক সত্ত্বেও সত্যিটা হচ্ছে, দ্বাদশ বিশ্বকাপটা এখন ইংল্যান্ডেরই। আর ক্রিকেটের জন্মভূমি ইংল্যান্ডকে প্রথমবার বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেয়া মহানায়কেরও একটিই নাম- বেন স্টোকস। বলা যায়, একা এক হাতেই ইংল্যান্ডকে এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে দিলেন গেল টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই খলনায়ক স্টোকস।
২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারানো স্বাগতিকদের খাদের অতল থেকে টেনে তুলেছিলেন বেন স্টোকস আর জজ বাটলার। শতরানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথ দেখিয়েও হাফসেঞ্চুরি করে ফিরেন বাটলার। তবে প্রতিজ্ঞাটা সঙ্গে নিয়েই একপ্রান্ত আগলে রাখেন স্টোকস। শেষ ২ বলে জয়ের জন্য ইংলিশদের দরকার ছিল ৩ রান। স্টোকস চাইলে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১ বল হাতে রেখেই জয় এনে দেয়ার ঝুঁকি নিতে পারতেন।
ঠিক ওই সময়টাতেই স্টোকস স্মরণ করেছিলেন মুশফিকুর রহিমকে। তার কোনও রিস্ক নেননি স্টোক।
২০১৬ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে ১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। অথচ শেষ ৩ বলে বাংলাদেশের দরকার ছিল মাত্র ২ দুই রান। ক্রিজে ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ। শুরুর ৩ বলে ৯ রান তুলেও শেষ ৩ বলে সেদিন ২ রান নিতে পারেননি মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ। বড় শট খেলতে গিয়ে ওভারের চতুর্থ বলে মুশফিক ও পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহ আউট হলে ১ রানের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় ভারত।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুশফিকের কথা মনে করেই বাউন্ডারি মারা থেকে বিরত থাকেন স্টোকস।
ম্যাচ শেষে স্টোকস বলেন, ‘শেষ বলে আমি ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচটার কথা ভাবছিলাম। অল্প কয়েক রান বাকি ছিল। মুশফিক বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিডে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ভারত ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠে যায়। তাই আমি শেষ বলে ছক্কা মেরে হিরো হতে চাইনি। এক রান নিয়ে ম্যাচটা সুপার ওভার ভাগ্যে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম।’
সেদিন ছক্কা মারার ঝুঁকি না নিলেও নিশ্চিত রান আউট থেকে কিন্তু রক্ষা পেয়েছিলেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন