কয়েকদিন আগেই ভারতের বিপক্ষে নাকানিচুবানি খেয়েছে নিউজিল্যান্ড। নিজ দূর্গেই টিম ইন্ডিয়ার কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে কিউইরা। সেই তারাই বাংলাদেশের বিপক্ষে রূদ্ররূপে আবির্ভূত। স্ব ডেরাতেই টাইগারদের কুপোকাত করছে স্বাগতিকরা। টানা দুই ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ে একটি হাতে রেখে ইতিমধ্যে তিন ম্যাচ সিরিজ জিতেছে তারা।
তো এর রহস্য কী? উন্মোচন করলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮ উইকেটের ব্যবধানে বিশাল জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বলেন, ভারত সিরিজ থেকে উপযুক্ত শিক্ষা নিয়েছে ছেলেরা। আসলে এটিই ফ্যাক্টর। সেই ধরনের সিরিজ থেকে শিখতেই হবে। আমরা দারুণ পারফরম করেছি। সবাই নিজের দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করেছে। আমরা হালকা মেঘাচ্ছন কন্ডিশন পেয়েছি। উইকেট কিছুটা আমাদের পক্ষে ছিল। বাংলাদেশের শুরুর উইকেটগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যেখানে রান করতে হাপিত্যেশ করে মরছেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। সেখানে আরামসে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে মার্টিন গাপটিলের কথা না বললেই নয়। প্রথম ওয়ানডেতে টাইগার বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে অসাধারণ সেঞুরি (১১৭*) হাঁকিয়ে দলকে এনে দিয়েছিলেন দুরন্ত জয়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একই চিত্র। ফের ছন্দময় ব্যাটিং উপহার দিলেন তিনি। তুলে নিলেন ব্যাক টু ব্যাক উড়ন্ত সেঞ্চুরি (১১৮)। তাতেই হেসেখেলে জিতেছে কিউইরা। অধিনায়কেরও ভূমিকা আছে।
স্বাভাবিকভাবেই এ ওপেনারের প্রশংসা সুর বেজেছে উইলিয়ামসনের কণ্ঠে। নিজের কথাও জানিয়েছেন, গাপটিল অসাধারণ খেলেছে। ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। টানা দুটি সেঞ্চুরি-প্রকৃত অর্থেই এটি দুর্দান্ত। ছেলেরা তার সঙ্গে খেলেছে এবং জুটি গড়েছে। সে অনন্যাসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আমিও সোজা খেলতে চেয়েছি। ওকে ওর মতো খেলতে দিতে চেয়েছি। আমরা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। এটি বেশ ব্যস্ত মৌসুম। এখন নজর ডানেডিনে।
আসছে ২০ ফেব্রুয়ারি ডানেডিনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কিউইদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের বিপক্ষে সেই ম্যাচে সান্ত্বনার জয় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা পায় কি না তা দেখার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন