সাকিবের আঙুলের অস্ত্রোপচার তো এশিয়া কাপের পরই হবে, নাকি? নাকি আর কখনো হবেই না?
আমি মুখ্যুসুখ্যু মানুষ, এমন প্রশ্ন করার স্পর্ধা মার্জনা করবেন। কিন্তু মাথায় আজগুবি প্রশ্ন ঘাই মারলে কী করবে বলুন? উত্তর জানতে যে ইচ্ছে করে!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ফিরে বিমানবন্দরেই সাকিব জানিয়েছিলেন যত দ্রুত সম্ভব নিজের আহত আঙুলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা। বেশ কয়েকটি সিরিজ ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলেছেন, আর পারছেন না বলেই অমন আকুতি। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনা ছিল ভিন্ন।
সাকিবের আঙুল আহত, ‘নিহত’ তো আর নয়। এভাবে যখন খেলতে পারছে, তখন এশিয়া কাপের মতো ‘মহাগুরুত্বপূর্ণ’ আসরটাও খেলুক না হয়! অনুরোধের মোড়কে যা ছিল নির্দেশ, এটি উপেক্ষার ক্ষমতা সাকিবের নেই।
সাকিব তাই এশিয়া কাপ খেলছেন। নতুন করে ইনজুরিতে পড়েননি। টুর্নামেন্ট শেষে অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনাতেও পরিবর্তনের খবর নেই। তাহলে আমার মনে অমন প্রশ্ন জাগল কেন?
আসলে ভাবনার ভুবনে তা ঘুরপাক খাচ্ছে তামিম ইনজুরিতে পড়ার পর থেকেই। দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই ওপেনারকে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অস্ত্রোপচার করাতে হলে সেটি দীর্ঘায়িত হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরবর্তী সিরিজ পর্যন্তও। ওদিকে সাকিব অস্ত্রোপচার করালে পুনর্বাসনের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে তাঁকেও।
এখন যদি বিসিবি অথবা বোর্ড সভাপতির মনে হয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে সাকিব-তামিম দুজনকে ছাড়াই আমরা খেলি কিভাবে, তাহলে? তার আঙুল তো আহত, ‘নিহত’ নয়! আবার তখন অনুরোধের মোড়কে নির্দেশ যেতে পারে সাকিবের কাছে।
ধরা যাক, তা মেনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেললেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু কোনো কারণে সেখানে বাংলাদেশের ফল প্রত্যাশানুযায়ী হলো না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ তো তখন বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে হর্তাকর্তাদের কাছে। সাকিবের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা তখন বড় কর্তাদের কানে তোলাই দায়!
অতএব, খেলারাম খেলে যা। সোনার ডিমপাড়া হাঁসের গল্প ভুলে যা ...
নোমান মোহাম্মদ এর ফেসবুক থেকে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন