১৫ মাস পর দুবাইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। গত বছর জুনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পর আজ বুধবার ফের দেখা হচ্ছে তাদের। ভারতের কাছে এই ম্যাচ প্রতিশোধের। কারণ ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে হারিয়েছিল পাকিস্তান। তাই এশিয়া কাপে ঠিক তার উল্টোটা করতে চাইছেন রোহিত শর্মারা।
দুটো দলেরই শক্তির জায়গা বোলিং। তবে স্পিন বিভাগে কুলদীপ-চাহাল জুটির জন্য ভারত এগিয়ে। আবার অলরাউন্ডারদের ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতার বিচারে পাকিস্তান এগিয়ে। ব্যাটিংয়ে আবার সামান্য হলেও ভারত এগিয়ে। রোহিত, ধাওয়ান, রাহুল, ধোনি-যে কোনও দিন একাই ম্যাচ শেষ করতে পারেন। পাকিস্তানের প্রধান ভরসা ফখর জামান। যে ফখর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুরন্ত সেঞ্চুরিতে জিতিয়েছিলেন। ইনজামাম উল হকের ভাইপো ইমাম উল হকের কাছেও পাকিস্তানের বড় ভরসা। বাবর আজম এখন পাকিস্তান দলের সবচেয়ে বড় ব্যাটসম্যান। পাক মিডিয়ায় বাবরের সঙ্গে কোহলির তুলনা টানা আনা হয়। আর শোয়েব মালিক তো আছেনই। শেষের দিকে শোয়েবের ক্যামিও ম্যাচের রঙ বদলে দেয়। পাকিস্তানের পেস আক্রমণওও দারুণ- মোহাম্মদ আমির, হাসান আলি সব হিসেব উল্টে দিতে পারেন। যদিও ইউএই-তে স্পিনাররা ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা নেন।
কোহলি না থাকলেও ভারতের হাতে থাকছে ম্যাচ জেতানোর মত অনেক ব্যাটসম্যান। বিদেশে যাই হোক এশিয়ার মাটিতে ওয়ানডে-তে শিখর ধাওয়ান অপ্রতিরোধ্য। অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মার ব্যাটিং গড় ১০৯। রাহুল ওভালে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলে অনেকটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামছেন। কোহলি না থাকার একটা অসুবিধা হল রান তাড়া করতে গিয়ে অতটা মসৃণতা থাকবে না। কেদার যাদব, মনীশ পান্ডেরা চোট সারিয়ে দলে ফিরছেন। রায়াডু দীর্ঘদিন পর সুযোগ পাচ্ছেন। বড় ম্যাচে নেমেই তারা কাঁপিয়ে দেবেন সেটা সব সময় হয় না। তবে এটাও ঠিক বিদেশের মাটিতে টেস্টে যাই ফল হোক। সাম্প্রতিককালে ওয়ানডে -তে দারুণ ফর্মে ভারত।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন