কোন এক আলোচনায় সাকিব আল হাসানও নাকি ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের বলেছিলেন দলে একটা ‘মাথা’ লাগবে। মাথা মানে দলের সর্বেসর্বা একজন কোচ। হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর কোচহীন হয়ে পড়া দলটি ‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টর’ খালেদ মাহমুদ সুজনের অধীনে খেলে ভাগ্যের পরশে তিন ওয়ানডে জিতে যায়। এরপর টানা দুই ম্যাচে হেরে ত্রিদেশীয় সিরিজ তারপর টেস্ট সিরিজ। হাতছাড়া হয় টি-টোয়েন্টি ট্রফিও।
রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৪উইকেটে ২১০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে শ্রীলংকা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৫ রানে অলআউট বাংলাদেশ দল। ৭৫ রানের সহজ জয় পায় অতিথিরা।
কোচহীন একটা দলের পারফরম্যান্স যে কী হতে পারে, তা এ ম্যাচ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। হাথুরুসিংহে থাকতে এই দলটাই ছিল। এই খেলোয়াড়দের নিয়েই তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলিয়েছেন।
হাথুরুর অধীনে যেই দলটা ঘরের মাঠে, ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে নাকানি চুবানি খাইয়ে দিয়েছে অথচ সেই দলটাই এখন নিজেদের চেনা মাঠে অচেনা আচরণ করছে। এর মূলে একটাই কারণ প্রধান কোচ।
এই ‘মাথা’র সমাধান দ্রুত করা না গেলে আগামী মাসে লংকা সফরে এর চেয়েও বাজে পরিস্থিতে পড়তে হতে পারে টাইগারদের।
ত্রিদেশীয় এবং টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও করুণ পরাজয় বাংলাদেশ দলের। ফেবারিট হিসেবে থেকেও প্রত্যাশার বেলুন ওড়াতে পারেননি তামিম-মাহমুদউল্লাহরা। দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় মিরপুরে ভালো ব্যাটিংয়ের পর বোলিংটা মানের না হওয়ায় নিজেদের ইতিহাস সেরা স্কোর গড়েও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ দল।
সিলেটের মাটিতে সিরিজে ড্র করার লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই হতাশ করেছে টাইগাররা। ২১১ রান চেজ করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রান তুলতে অলআউট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি। ৭৫ রানের ব্যবধানে জিতে ট্রফি নিজেদের করে নিয়েছে শ্রীলংকা। ঘরের মাঠে টাইগারদের এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর আগামী মাসে শ্রীলংকা সফরে তারা যে কতোটা সফল হবেন তা সময়ই বলে দেবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলংকা: ২০ ওভারে ২১০/৪ রান (মেন্ডিস ৭০, গুনাথিলাকা ৪২)।
বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ১৩৫/১০ রান (রিয়াদ ৪২, তামিম ২৯) ।
ফল: শ্রীলংকা ৭৫ রানে জয়ী।
সিরিজ: শ্রীলংকা ২-০তে জয়ী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন