মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহই করেছিল বাংলাদেশ। টি-টুয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের পরও হেরেছিল বোলারদের ব্যর্থতায়। সিলেটে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভিন্ন কিছুরই আশায় নেমেছিল টাইগাররা। প্রত্যাশা ছিল বোলাররা এবার কিছু করে দেখাবেন। কিন্তু তাতো হয়নি। উল্টো তাদের পাল্লা দিয়ে এ ম্যাচে ব্যাটসম্যানরাও বর্ণহীন। তারপরও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাঠগড়ায় সেই বোলাররাই। ১৮০ রানের মধ্যে লঙ্কানদের আটকাতে পারলে ফলাফল হয়তো ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করেন অধিনায়ক।
রোববার টস জিতেছিল বাংলাদেশই। বোলারদের কথা বিবেচনা করে আগে বোলিং নিয়েছিলেন অধিনায়ক। দ্বিতীয় অর্ধে শিশিরের প্রকোপটা বেশি থাকে এই মাঠে। কিন্তু লাভ হলো কই? ব্যাটিং স্বর্গে টাইগার বোলারদের রীতিমতো গলির বোলারদের পেটালেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের কোণঠাসা করে রাখে দলটি। ফলে ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছিল সফরকারীরা। রেকর্ড গড়েই তাই জিততে হতো বাংলাদেশের। কারণ এ সংস্করণে টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহই যে ১৯৩ রান। কিন্তু বাংলাদেশ যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখন সেই ব্যাটিং স্বর্গ যেন পরিণত বোলিং উইকেটে।
আগের ম্যাচের মতোই এ ম্যাচেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পেরেছেন নাজমুল ইসলাম অপু। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়েছেন তিনি। আর বাকি সবাই ছিলেন খরুচে। বোলাররা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমরা ভালো বোলিংও করিনি। যদি তাদের ১৮০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারতাম তাহলে হয়তো আমরা চেজ করতে পারতাম। নিদাহাস কাপের আগে আমাদের এ নিয়ে বসতে হবে কিভাবে আমরা ১৮০ রান চেজ করতে পারি এবং কিভাবে আমাদের বোলাররা ক্ষতিটা কমাতে পারে।’
২১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৩৫ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটাও করতে পারেনি তারা। অথচ উইকেট ব্যাটসম্যানদের উপযোগী ছিল বলেই জানান মাহমুদউল্লাহ, ‘এই স্কোর দেখে আশা করেছিলাম আমরা চেজ করতে পারবো। আমাদের ভালো সূচনার দরকার ছিল। কিন্তু আমরা উইকেট হারাতে থাকি। কখনোই মোমেন্টাম পাইনি। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো ছিলো। যখন শিশির পড়া শুরু হয়েছে তখনও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। স্পিনারদের জন্য তেমন কিছুই ছিলো না।’
দায়টা বোলারদের উপর বেশি দিলেও এদিন সব বিভাগেই বাজে খেলেছে বাংলাদেশ। ফিল্ডিংও ছিল হতাশাজনক। দিন শেষে ৭৫ রানের বড় হার মেনেই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। টাইগারদের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার এটা সবচেয়ে বড় জয়ও বটে। আগামী মাসেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিদাহাস কাপে খেলার আগে তাই দুশ্চিন্তা আরও বড় হলো। এখন দেখার বিষয় টাইগাররা কিভাবে বিষয়টি নেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন