বিপিএলের পঞ্চম আসরের মাঝে মুশফিকুর রহিমকে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কের পদ থেকে সারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তখন তিনি থাইল্যান্ডে। এরপর অনেক চেষ্টা করেও ওই সময়টাতে মুশফিকের নাগাল পাননি মিডিয়ার কর্মীরা। জানতে পারা যায়নি তার মনের অবস্থা।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ চলাকালীন নানান বেফাঁস কথা বলে কিংবা কখনও বোর্ডের সমালোচোনা করে আলোচিত হয়েছেন টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিক। এরপর থেকে মিডিয়ার কর্মীদের এড়িয়েই চলছেন তিনি।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীতে একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করতে যান মুশফিক। যেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরাও। স্বাভাবিকভাবেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তার সঙ্গে কথা বলতে চান তারা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে কোনও কথাই বললেন না মুশফিক।
যদিও পরে সাংবাদিকরা কথা বলার অনুরোধ করলে হেসে মুশফিক বলেন, ‘মিডিয়ায় কথা বলার উপর কোর্স করছি। আগে ভালোভাবে কথা শিখে নেই, তারপর কথা বলবো।’
মুশফিকের অধিনায়কত্ব হারানো এরআগে বিসিবি পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছিলেন গণমাধ্যমে বিতর্কিত কথা বলেই অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন মুশফিক। এই কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গেই স্থান পেয়েছিল দেশের প্রায় সব সংবাদ-মাধ্যমে।
তবে শুধু সুজনই নয়, এর আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুলহাসান পাপনও মুশফিকের কথা বলা ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বোর্ড প্রেসিডেন্ট মাশরাফির সঙ্গে তুলনা দিয়ে বলছিলেন, ‘মাশরাফিওতো অধিনায়কত্ব করে। ওর তো কোনও সমস্যা হয়না! তাহলে মুশফিকের হয় কেন? সমস্যা ওর মাঝেই রয়েছে।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন