আইসিসির ম্যাচসূচি নিয়ে সবসময়ই বাংলাদেশের একটা অভিযোগ ছিল। সেটা যথেষ্ট টেস্ট খেলার সুযোগ না পাওয়ার। তবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সম্ভাব্য ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রামে (এফটিপি) এই অভিযোগ দূর হওয়ার কথা টাইগারদের। ডিসেম্বরের ৭ ও ৮ তারিখ সিঙ্গাপুরে আইসিসির ম্যাচের সময় পরিকল্পনা সংক্রান্ত ওয়ার্কশপে এফটিপির একটি খসড়া দাঁড় করানো হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চার বছরে বাংলাদেশ টেস্ট খেলবে ৩৫টি। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে ৩২টি টেস্ট। শুধুমাত্র তিন মোড়ল- ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত বেশি টেস্ট খেলবে টাইগারদের তুলনায়।
.
নতুন এই এফটিপি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ক্রিকইনফোর দেয়া তথ্যমতে ২০১৮'র ফেব্রুয়ারিতে আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের সভায় এটি তোলা হবে। সেখানে অনুমোদন ও পরিবর্তনের পর জুন মাসে আইসিসির বার্ষিক বোর্ড সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। ফেব্রুয়ারিতে এই তালিকায় খুব অল্পই পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আছে।
মূলত আইসিসির ৯ দলের টেস্ট ও ১৩ দলের ওয়ানডে লিগের কথা মাথায় রেখেই এই নতুন এফটিপি সাজানো হয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে ২০২৩ এর মে পর্যন্ত এই সূচি কার্যকর থাকবে। সর্বোচ্চ ৪৬টি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। এরপরই ৪০ ও ৩৭টি টেস্ট খেলবে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। চলতি সূচিতে পাঁচ বছরে ৩৩টি টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। সেখানে নতুন এফটিপিতে ৪ বছরে ৩৫টি টেস্ট আসলেই আশাব্যঞ্জক। তবে বড় মোড়ল ইংল্যান্ডের সাথে এই সময়ে কোন টেস্ট সিরিজ নেই বাংলাদেশের। আইসিসির টেস্ট লিগের নিয়ম অনুযায়ী ২ বছর সময়ের ভেতর ছয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে হবে। তাই এখানে শীর্ষ ৯ দেশের সবার সাথে খেলা বাধ্যতামূলক নয়।
চার বছরে বাংলাদেশ দল খেলবে ৪৫টি ওয়ানডে ম্যাচ। এই তালিকায় শীর্ষে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা খেলবে ৬২ ওয়ানডে। বাংলাদেশের ভাগ্যে চার বছরে টি-টুয়েন্টি ম্যাচ পড়েছে ৪২টি। আয়ারল্যান্ড খেলবে ৪৪টি ম্যাচ। ৬১ ম্যাচ নিয়ে শীর্ষে আছে ভারত।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন