বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পাঁচটি আসর খেললেও এখন পর্যন্ত ৫ উইকেট পাওয়ার কীর্তিটা ছিলো না সাকিব আল হাসানের। অথচ এ টুর্নামেন্টের সেরা বোলারই এ অল রাউন্ডার। মঙ্গলবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে এ আক্ষেপটা ঘোচান তিনি। প্রথমবারের মতো ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন সাকিব। মাত্র ১৬ রানের খরচায় এ কীর্তি গড়েন তিনি।
.
বিপিএলের সেরা বোলিং ফিগারে সাকিবের এ কীর্তি তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বিপিএলের সেরা বোলিং ফিগারটি পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ সামির। ২০১২ সালে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরের বিপক্ষে এ রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তবে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে এটা সাকিবের তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) মাত্র ৬ রানে ৬ উইকেট সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা।
বিপিএলের শুরু থেকেই ইঁদুর বিড়াল খেলা চলছিল সাকিব ও ক্যারিবিয়ান পেসার কেভন কুপারের মধ্যে। এক ম্যাচে কুপারকে ছাড়িয়ে যান সাকিব। তো পরের কুপার। তবে এবারের আসরে কুপারের অনুপস্থিতিতে বিপিএলের শীর্ষস্থানটা সুদৃঢ় করেন সাকিব। ৫৫ ম্যাচে ৭১ উইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন এ অলরাউন্ডার। আর ৩৭ ম্যাচে ৬০ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন কুপার। তবে সবধরনের টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট মিলিয়ে সেরা বোলারদের তালিকায় সাকিবের ধারে কাছে নেই কুপার। ২৪৪ ম্যাচে ২৭৫ উইকেট নিয়ে সেরা টি-টুয়েন্টি উইকেট শিকারি তালিকার সাত নম্বরে অবস্থান করছেন সাকিব।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিনও ঝড় তুলেছেন ক্যারিবিয়ান দানব ক্রিস গেইল। আউট হয়েছেন ইনিংসের অষ্টম ওভারে। এরপরের ওভারেই বোলিং করতে আসেন সাকিব আল হাসান। সে ওভারে ৭ রান দেন তিনি। তার বলে দারুণ একটি চার মারেন শাহরিয়ার নাফীস। পরের ওভারে ফিরে এসে প্রথম বলেই নাফীসকে আউট করেন তিনি। এরপর উইকেটে নামেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাশরাফি উইকেটে নামতেই অনেকেই স্মরণ করেন গত আসরের সাকিবের বল চার ছক্কা হাঁকানোর কথা। কিন্তু পরের ওভারে সকল আলোচনায় পানি ঢেলে নিজেকে সরিয়ে নেন সাকিব। মাশরাফি আউট হওয়ার পরের ওভারে আবার বোলিংয়ে আসেন তিনি। তুলে নেন মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট।
এরপর ইনিংসের শেষ ওভারে আবার বোলিং করতে আসেন সাকিব। প্রথম বলে রান আউট হন রবি বোপারা। এর পরের বলেই জিয়াউর রহমানকে পোলার্ডের তালুবন্দি করেন তিনি। এরপর লাসিথ মালিঙ্গা উইকেটে এসে ১ রান নিয়ে প্রান্ত বদল করলে স্ট্রাইকে আসেন সোহাগ গাজী। সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। পরের বলে আউট হন রুবেল হোসেন। তবে আম্পায়ার রানমোরে মার্টিনেজ প্রথমে আউট দেননি। তখন রীতিমত ক্ষেপে যান সাকিব। তার আক্রোশে আউট দিয়ে দেন আম্পায়ার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন