জরিমানা কিংবা আম্পায়ারদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানো নতুন কিছু নয় তামিম ইকবালের জন্য। ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রায় সব আসরেই আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। জরিমানা গুনেছেন, নিষিদ্ধও হয়েছেন। শনিবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক সেই একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ফলও পেলেন হাতেনাতে। একটি আউট না দেওয়াকে কেন্দ্র আম্পায়ারকে রীতিমত জেরা করা শুরু করেছিলেন! কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙার অপরাধে তাই ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে তামিমকে। পাশাপাশি ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে তার। শুধু তামিম নন, একই পরিমাণ জরিমানা গুনছেন দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসও। দুজনই একটুর জন্য বেঁচে গেছেন এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা থেকে।
.
বিসিবির কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী এটা লেভেল দুই মাত্রার অপরাধ। অনুচ্ছেদ ২.২.৫ অনুযায়ী ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয় তাদের। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে তীব্রভাবে ভিন্ন মত পোষণ করা এবং দুর্ব্যবহারের অপরাধে এই শাস্তি পেয়েছেন জাতীয় দলের দুই খেলোয়াড়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন দুই ফিল্ড আম্পায়ার রানমোরে মার্টিনেজ ও মাহফুজুর রহমান, তৃতীয় আম্পায়ার মোর্শেদ আলী খান ও চতুর্থ আম্পায়ার মোজাহিদুজ্জামান। ২.২.৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী লিটন ও তামিমকে বিপক্ষে শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগ আনা হয়। রোববার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিসিবি।
ম্যাচের মূল ঘটনাটি ঘটে রবি বোপারার বিপক্ষে একটি আপিল নিয়ে। ফিল্ড আম্পায়ার সেটা 'নট আউট' দিলে ক্ষেপে যান লিটন। তার সঙ্গে যোগ দেন অধিনায়ক তামিম। আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদের কাছে দুইজনই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন। ফলে বড় শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি তাদের।
লেভেল ২ মাত্রার এ অপরাধের সর্বনিম্ন শাস্তি ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা। সর্বোচ্চ শাস্তি ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ। সঙ্গে ৩ থেকে ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা। এই অপরাধে তামিম ও লিটন ৩টি করে ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। অনুচ্ছেদ ৭.৫ অনুযায়ী ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হলে ১ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন সেই খেলোয়াড়। একটুর জন্য এ যাত্রা তাই বেঁচে গেলেও সামনে মাঠে আরো সতর্ক থাকা ছাড়া উপায় থাকছে না কুমিল্লার দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন