রাজধানীবাসীকে উন্নত প্রযুক্তির সেবা দিতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার কিছু অংশে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
‘ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় টেলিটকের নেটওয়ার্কে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি প্রযুক্তি চালুকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প এসেছে পরিকল্পনা কমিশনে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
সব কিছু ঠিক থাকলে প্রকল্পটি আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি উত্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফাইভজি প্রযুক্তি প্রকল্পভুক্ত এলাকাগুলো হলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার গণভবনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মোহাম্মদপুর এলাকা, শেরেবাংলানগর, বনানী, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট ও উত্তরা থানা এলাকা। এই এলাকার নাগরিকরা বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি সুবিধা পাবে। এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বঙ্গভবন ও সচিবালয়সহ মতিঝিল, রমনা, শাহবাগ ও ধানমণ্ডি থানার সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ও বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলো বাণিজ্যিকভাবে এই সুবিধা পাবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সরকারঘোষিত লক্ষ্য অনুসারে ২০২১-২৩ সালের মধ্যে ফাইভজি প্রযুক্তিনির্ভর মোবাইল সেবার প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে রাজধানীর কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি প্রযুক্তি চালু হবে। এর মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে ফাইভজি প্রযুক্তিবিষয়ক সচেতনতা ও অন্যান্য মোবাইল অপারেটরদের ফাইভজি সেবা চালু করতে উৎসাহিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন। তাই তারা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য একনেকে উপস্থাপনের সুপারিশ করেছে।
একনেকে উঠছে যেসব প্রকল্প
ফাইভজি প্রকল্প ছাড়া আরো সাতটি প্রকল্প আগামীকাল একনেকে উত্থাপন হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় কক্সবাজার জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার-এ সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদ বরাবর পোল্ডারগুলোর (৬৭/এ, ৬৭, ৬৭/বি এবং ৬৮) পুনর্বাসন শীর্ষক প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত)। এই প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পও উঠছে একনেকে। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় উত্তরা লেক উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্প একনেকে ওঠার কথা রয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় হবে ৯০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন