চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান পরিষদের অন্যতম আস্থাশীল ও শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন অভিনেতা সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে দাঁড়িয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের প্রার্থী চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। তিনিও প্রার্থী হিসেবে বেশ শক্তিশালী।
যার কারণে শুক্রবার এফডিসিতে ভোট দিতে গিয়ে বাবাকে নিয়ে বেশ টেনশনে ছিলেন চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এবার তিনি প্রথম ভোটার হয়েছেন, ভোটও দেন। এর পরই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান তার টেনশনের কথা।
দীঘি বলেন, ‘বাবা অনেক ধরে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করছেন। তাকে আমি কখনো হারতে দেখিনি। আগে বাবার হাত ধরে নির্বাচন দেখতে আসতাম, সে সময় তেমন কিছু বুঝতাম না। তাই টেনশনও ছিল না। এবার আমি ভোটার। কেন জানি এবারই টেনশন হচ্ছে। বাবা জিতবেন তো?’
কয়েক ঘণ্টা না যেতে দীঘির সেই টেনশনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। কারণ, ফলাফল ঘোষণার পর জানা যায়, হেরে গেছেন দীঘির বাবা সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি এবারের নির্বাচনে ভোট পেয়েছেন ১২৭টি। তার পদে বিজয়ী প্রার্থী কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সাইমন সাদিক পেয়েছেন ২১২ ভোট।
তবে বাবার মতো নিজেকে সামলে নিয়েছেন দীঘিও। ভোটের ফল ঘোষণার পর তিনি জানান, ‘বাবা না জিতলেও তার জায়গায় যিনি এসেছেন তিনি যেন বাবার মতোই শিল্পীদের পাশে থাকেন।’ পাশাপাশি অভিনেত্রী আক্ষেপের সুরে এও বলেন, ‘জীবনে প্রথম ভোট দিলাম, কিন্তু বাবা এবারই হেরে গেলেন।’
দীঘির বাবা সুব্রত এর আগের দুই মেয়াদে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেন। দুই বারই জয়ী হন। কিন্তু এবার সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে গেলেন সাইমনের গেছে। এই সাইমনও গত দুই মেয়াদে মিশা-জায়েদ পরিষদের সঙ্গে নির্বাচন করেন। এবার প্রার্থী হন কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ থেকে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন