মিডিয়াতে কাজ করা নিয়েই সাংসারিক দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। আর তা এত চরমে পৌঁছেছে যে সাত বছরের সংসার ভেঙে স্ত্রী মারিয়া স্বামী সিদ্দিকুরকে তালাক দিয়েছেন সম্প্রতি। তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান আরশ হোসাইন এখন আছে বাবা সিদ্দিকুরের কাছে।
কিন্তু তাকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া ছিলেন সিদ্দিকুর। বিচ্ছেদ ঠেকাতে সিদ্দিক তার সাধ্যমত চেষ্টাও করেছেন। জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, মিম হয়তো ক্ষোভে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি বলবো তুমি ফিরে আসো। আমাদের এত ছোট একটা সন্তান, আমারা আলাদা হলে এই বাচ্চাটা মানুষ হতে পারবে না। ফিরে এসে সংসারটা বাঁচাও, সন্তানটাকেও দেখো ।
কিন্ত এতেও শেষ রক্ষা হয়নি তার সংসারের। শনিবার (১৯ অক্টোবর) তালাকনামায় স্বাক্ষর করেছেন মিম। কাগজটি সিদ্দিকের কাছে পৌঁছাবে ২৩ অক্টোবর। তবে দু’জনের সিদ্ধান্তেই ডিভোর্স হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিদ্দিকুর গণমাধ্যমকে জানান, ঝামেলার সূত্রপাত মারিয়ার একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করাকে কেন্দ্র করে। মারিয়া সেই বিজ্ঞাপনে কাজ করতে চাইলেও সিদ্দিকুর তাকে বাঁধা দেয়। যদিও সেই বিজ্ঞাপনে আর মারিয়ার কাজ করা হয়নি। এরপর থেকেই তাদের সাংসারিক কলহ বাড়তে থাকে। সেই জেরেই ঈদের সময় বাড়ি গিয়ে আর না ফিরে তালাক দিলেন স্ত্রী।
ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে মারিয়া একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিই। কারণ আমিও মানুষ, আমারও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছি। একটা দীর্ঘদিনের বেদনা, কান্না এবং চাপা কষ্ট সবকিছু নিয়ে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে আমি আমার সম্পর্ক ছিন্ন করেছি।
এদিকে স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ নিয়ে সিদ্দিকুর বলেছিলেন, ছেলেটার দিকে তাকিয়ে দিনের পর দিন সহ্য করেই যাচ্ছি। কিন্তু সব কিছুর তো একটা শেষ আছে। যদি ওর ইচ্ছামত বিচ্ছেদ হয়েই যায়, তবে অনেক কিছু প্রকাশ্যে নিয়ে আসবো। সংবাদ সম্মেলন করে সব জানাবো।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন