‘বাবা-মায়ের পরেই যেই মানুষটির স্নেহ সব চেয়ে বেশি পেয়েছি, তিনিই হলেন হলেন হুমায়ূন আহমেদ স্যার। আমার অভিনয় জীবনের সেরা সময়গুলো কেটেছে তার সঙ্গে। হুমায়ূন আহমেদের নাটক সিনেমার কথা বলতে গেলেই বেশ কয়েকজন অভিনয় শিল্পীর মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তাদেরই একজন ডা. এজাজুল ইসলাম। তিনিই বলছিলেন কথাগুলো।
হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন নির্মাণে তাঁকে পাওয়া গেছে বিভিন্ন চরিত্রে। তবে, তারও আগে থেকেই তিনি রেডিও ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত অভিনেতা ডা. এজাজ। হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছিলেন ‘সবুজ সাথী’ নাটকে, স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মী হিসেবে ছোট একটি চরিত্রে। এরপর থেকেই হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সব নির্মাণেই ছিল তার সরব উপস্থিতি।
প্রথম দিকে সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করলেও পরবর্তীতে মজার চরিত্রগুলোতে অভিনয়ের সুযোগ পান ডা. এজাজ। আজ (১৯জুলাই) হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবস। এজাজ স্মৃতিচারণ করেছেন তার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে।
তিনি বললেন, ‘এখনও শুটিং করতে গিয়ে যখন সংলাপ ভালো লাগে না তখন স্যারের কথা মনে হয়। স্যার এমন জাদু জানতেন, এমন ঘোরের জৎগ তৈরি করতে পারতেন। আজও আমরা মুগ্ধ হয়ে আছি তার কাজ নিয়ে। তার একটা নাটকে অভিনয় করে যেমন সাড়া পেয়েছি এখন অনেক অনেক নাটকে অভিনয় করেও সেই সাড়া পাই না।’
এজাজ আরও বলেন, ‘ মাঝে মধ্যেই স্বপ্নে চলে আসেন স্যার তার সঙ্গে কাটানো সময়গুলো আমার স্বপ্নে ফিরে আসে। ঘুম ছাড়াও প্রতিদিন যখন যেখানে যাই, কোনো না কোনোভাবে আলোচনায় স্যার চলে আসেন। একজন অতিপ্রিয় মানুষ চলে গেলেছে তাকে কি এই জীবনে আর ভোলা যাবে! কাজের প্রতি প্রচুর মমত্ববোধ আমি এই একটি মানুষের মধ্যেই দেখেছি। এই কারণেই হয়তো স্যারের এক একটা নাটক, একটা ছবি একেকটা ঈদের মতো ছিল।’
জনপ্রিয় এ অভিনেতা বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদকে হারিয়ে আমরা যেমন সাহিত্যিক হুমায়ূনকে হারিয়েছি তেমনি হারিয়েছি বাংলা নাটকের এক অনন্য সম্পদকে। যতই দিন যাচ্ছে হুমায়ূন আহমেদ ততই প্রাসঙ্গিক হচ্ছেন। সেই সময় আমাদের নাটক কলকাতা জয় করে এসেছে, আর এখন কলকাতার নাটক নিয়ে পড়ে থাকছে বাংলাদেশের মানুষ।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন