স্ত্রীকে নির্যাতন মামলায় আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর রাতেই বগুড়ার শহরতলীর গোদারপাড়া বাজারে একটি দোকানে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, ‘সত্যের জয় সব সময়ই হবে। আমি সত্যের পথে আছি, সারা জীবন থাকব। স্ত্রীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে শ্বশুর আমার নামে মামলা করেন। আমি সত্যের পথে ছিলাম, এ জন্যেই আমার স্ত্রী ও শ্বশুর তাদের ভুল বুঝতে পেরে মামলা তুলে নিয়েছে।’
হিরো আলম বলেন, ‘স্ত্রী ভুল করলেও আমি হিরো ভুল করতে পারি না। আমার তিনটি সন্তান আছে। আমি তাদেরকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করতে চাই।’
৪০ দিন কারাগারে কাটানো একটি নতুন অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, ‘কারাগারেও যে আমার এত ভক্ত আছে সেখানে না গেলে আমি বুঝতাম না। কারাগারে থাকাকালে সব সময় দুজন কারারক্ষী আমার সঙ্গে থাকতো। জেল সুপার আমাকে আলাদা একটি কক্ষে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। কারাগারে আমার ভক্তরা বেশ সম্মান করেছে।’
এই অভিনেতা বলেন, ‘কারাগারে থাকাকালে আমার নামে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়েছে। আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি, যৌতুক দাবি করেছি, এগুলো চক্রান্ত তা আজ প্রমাণ হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। কারাগারে থাকাকালে আমার ফেসবুক হ্যাক করা হয়।’
হিরো আলম বলেন, ‘৪০ দিন কারাগারে থাকায় কর্মজীবনে আমি অনেক পিছিয়ে পড়েছি। শুক্রবার থেকেই নতুন করে কর্মজীবন আবার শুরু করব। ভক্তদের জন্য আগামী ঈদে নতুন নতুন গানের ভিডিও প্রকাশিত হবে। এ ছাড়া দিয়াশলাই নামের সিনেমা বাজারে আসছে।’
উল্লেখ্য, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর এবং নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মার্চ হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৫ মার্চ হিরো আলমের জামিন শুনানিকালে বাদী তার শ্বশুর মামলা আপোষ করেছে মর্মে আদালতকে জানায়। এ সময় হিরো আলমের স্ত্রী সুমি বেগম আদালতে উপস্থিত থেকে স্বামীর জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের বক্তব্য শুনে মামলার বাদী ও হিরো আলমের স্ত্রীকে ভর্ৎসনা করেন।
আদালত জামিন না মঞ্জুর করে গত ১৮ এপ্রিল হিরো আলমকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। পরে বাদীপক্ষ মামলা আপস করায় গতকাল দুপুরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে সন্ধ্যায় তিনি জামিনে মুক্তি পান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন