বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষ্যে ইংরেজি পত্রিকায় অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা একটি নিবন্ধ লিখেছেন। এর শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ‘পার্সনাল স্পেইস’ধারণাটা খুব একটা জনপ্রিয় নয়। দূর সম্পর্কের আত্মীয়রাও অনুমতি ছাড়াই একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয় গুলো নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন; অনেক সময় বিয়ে, বাবা-মার কথা জিজ্ঞাস করার সময় হাত স্পর্ষ করার চেষ্টা করেন। তখন আমরা ব্যাক্তিগত সীমানা সম্পর্কে কোন ধারণা করতে পারি না। এসব বিষয়কে প্রশ্রয় না দিয়ে এগোতে চাইলে অপরাধী সাভ্যস্ত হতে হয়। মাঝে মাঝে এর পরিণতি হিসেবে যৌণ হয়রানি কিংবা ধর্ষণের শিকার হতে হয়।
মিথালার এই কথার সূত্র ধরেই তার সাম্প্রতিক একটি ঘটনার বিশ্লেষণ করার চেষ্টা। যেখানে মিথিলা জানতে চেয়েছেন একসাথে পার্টিতে গেলেই কী বিয়ের সম্ভাবনা শুরু হয়? এই প্রশ্নটা খুবই যুক্তিক। কারণ সম্প্রতি কলকাতায় গিয়ে সেখানকার এক পরিচালকের সাথে একটি পার্টিতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এরপরই গুঞ্জন উঠে, ২০২০ সালের শুরুতে সৃজিতকে বিয়ে করবেন মিথিলা। এই গুঞ্জনের জবাবটা বেশ সুন্দরভাবে দিয়েছেন মডেল অভিনেত্রী মিথিলা। তিনি বলেন, কেউ কেউ সংবাদের সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য এসব খবর প্রচার করেন। এর মূল কারণটা হচ্ছে আমাদের সঙস্কৃতিতে ‘পার্সনাল স্পেইস’ ধারণাটা জনপ্রিয়তা পায়নি। এটা যদি থাকলে কারো ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে ফালতু প্রচারণা গণমাধ্যমে আসতে পারতো না।
তিনি ইংরেজি পত্রিকার নিবন্ধের সূত্র টেনে বলেন, কয়েকদিন আগে মানুষের ব্যাক্তি অধিকার ও সীমানা নিয়ে নিবন্ধ লিখেছিলাম। যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, আমরা অন্যের সম্পর্কে কতটুকুন জানবো তার সীমানা পরিমাপ করতে পারি না। এটা থেকে বের হতে না পারলে শুধু শুধু মানুষকে অনেক হয়রানির শিকার হতে হবে। এটা বন্ধ হলে এমনিতেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
কলকাতার পরিচালক সৃজিতের সাথে তার সম্পর্ক কেবল ‘বন্ধু’ উল্লেখ করে মিথিলা বলেন, কলকাতায় গিয়ে ছিলাম শুটিং করতে। শুটিং শেষে ও (সৃজিত) আমাকে কলকাতার একটা পার্টিতে নিয়ে যায়। বন্ধুদের সাথে একটু হাই-হ্যালো বলা আরকি। ওটা থেকেই গুঞ্জন বের হয়েছে, আমার সাথে সৃজিতের সম্পর্ক রয়েছে।
সৃজিতের সাথে অনেক দিন আগে থেকেই তার পরিচয় আছে উল্লেখ করে বলেন, আমার আর সৃজিতের কমন কিছু বন্ধু আছে। তাদের সূত্র ধরেই আমাদের দেখা এবং কথা বলা।
মিথিলা বলেন, এর আগে জয়া আহসানের সাথে সৃজিতের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। আসলে পেশাগত সম্পর্ককে হেয় করার জন্যই এমন মুখরোচক সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের সবচেয়ে অনুকনীয় দম্পত্তি বলা হতো; মিথিলা-তাহসানকে। কিন্তু ২০১৭ সালের জুলই মাসে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন