বিনোদন এমন একটি ক্ষেত্র যার মাধ্যমে খুব দ্রুত মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনো যায়। রাতারাতি তারকা খ্যাতি পাওয়া যায়। প্রচুর ভক্ত জুটে যায়। ভক্তরা তাদের প্রিয় তারকাদের অনুসরণ করে। সে হিসেবে বিনোদন ভুবনের তারকারা সমাজের প্রতিনিধি। সমাজের প্রতি তাঁদের অনেক দায়বদ্ধতা থাকে। তাঁরা বিপথে চলে গেলে তার প্রভাবও সমাজের উপর পড়ে। খোদ বলিউডে এমন এক ঝাঁক তারকা রয়েছেন যাঁরা একসময় মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। ভুল স্বীকার করে সেখান থেকে ফিরেও এসেছেন। আবার অনেক তারকা মাদক নেওয়ার বিষয় স্বীকার না করলেও ধরা পড়েছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। চলুন জেনে নেই এমন কিছু বলিউড তারকার কথা-
সঞ্জয় দত্ত
সঞ্জয় দত্তের মাদক ও অ্যালকোহল আসক্তির কথা কমবেশি সবাই জানে। এই অভ্যাস থেকে বাঁচানোর জন্য তাঁর বাবা সুনীল দত্ত তাঁকে আমেরিকার মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। এছাড়া ১৯৮২ সালে মাদক বহনের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত।
রণবীর কাপুর
একসময় গাঁজায় আসক্ত ছিলেন এই চকোলেট অভিনেতা। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ফিল্ম স্কুলে পড়াকালীন সময়ে তিনি গাঁজায় আসক্ত ছিলেন। এছাড়া রকস্টার ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনে এই মাদক ব্যবহার করেছেন।
ফারদিন খান
২০০১ সালে মুম্বাইয়ের জুহু এলাকায় ফারদিনকে কোকেন বহনের দায়ে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভয়ংকর মাদক কোকেনে আসক্তির কথা গণমাদ্ধমে স্বীকারও করেছেন তিনি। এই মাদকের কারণে ফারদিনকে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হয়েছে। মাদক ছাড়ার জন্য যুদ্ধ করেছেন নিজের সাথে। তিনিই প্রথম বলিউড অভিনেতা যাঁকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মুম্বাই আদালত তাঁকে দুটি বিকল্প দিয়েছিল, ছয় মাস জেলে থাকতে হবে অথবা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে যেতে হবে। তিনি দ্বিতীয় বিকল্প নিতে রাজী হন।
বিজয় রাজ
অভিনয় দিয়ে সবার মন জয় করেছেন এই কৌতুক অভিনেতা। ‘ভোপাল এক্সপ্রেস’ এবং ‘মনসুন ওয়েডিং’ এর মতো সিনেমায় কাজ করেছেন বিজয় রাজ। ২০০৫ সালে দুবাই বিমানবন্দরে তাঁকে মাদকসহ গ্রেফতার করা হয়।
প্রতীক বাব্বার
প্রয়াত সামিত প্যাটেল ও রাজ বাব্বরের ছেলে প্রতীক বাব্বর। প্রতিক তাঁর মাদকাসক্তির কথা একটি ইংরেজি সংবাদপত্রকে জানান। সেখানে তিনি জানান, ১৩ বছর বয়সে মাদক নেয়া শুরু করেছিলেন। অদ্ভুত এক অনুভূতি কাজ করতো মনে। সকালবেলা বিছানা থেকে উঠতে কষ্ট হতো। কখনও ঠান্ডা কখনও গরম লাগতো। যতদিন না আপনি নিজেকে পরিবর্তন করেছেন ততদিন মাদক আপনার পেছন ছাড়বে না।
হানি সিং
২০১৭ সালের দিকে হঠাত্ বলিউড থেকে উধাও হযে যান র্যাপার হানি সিং। কয়েকদিন পর জানা যায়, অতিরিক্ত মাদক নেওয়ার কারণে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। পরে তিনি ঠিক হয়ে গেছেন বলে জানান। হানি সিং অতিরিক্ত মদ্যপান করতেন।
অর্জুন রামপাল
দীর্ঘদিন গাঁজায় আসক্ত ছিলেন অর্জুন। ঋত্বিকের সাবেক স্ত্রী সুজানা এসব স্বীকারও করেছেন। সুজানা ছিলেন অর্জুনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনিও কোকেনে আসক্ত ছিলেন। জানা যায়,সুজানার কোকেন আসক্তি ঋত্বিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।
আফতাব শিভদাসানি
পুনের একটি ক্লাবে মাদক নিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন আফতাব। পরবর্তীতে তিনি তা অস্বীকার করেন এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেন।
মমতা কুলকার্নি
বলিউডের এই অভিনেত্রী এবং তাঁর প্রেমিক ভিকি গোস্বামীকে কেনিয়াতে মাদক বহনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পারভিন ববি
আশির দশকের এই জনপ্রিয় নায়িকা অতিমাত্রায় মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদকাসক্তির কারণে একা নিভৃতচারী জীবন যাপন করতেন। পরবর্তীতে মাদকের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন