মহান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ১৯৭৩ সালে এফডিসিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। তবে যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তাঁদের কেউ আর নেই সংগঠনে।
এরই মধ্যে তাঁরা চাকরির মেয়াদ শেষ করেছেন। কেবল একজন রয়েছেন। তিনি উপসহকারী প্রকৌশলী মোহ্ম্মদ হান্নান খান। তিনিও আগামী ৩১ তারিখ চাকরির মেয়াদ শেষ করে চলে যাচ্ছেন। এতে মুক্তিযোদ্ধা শূন্য হচ্ছে এফডিসির মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, তবে বিলুপ্ত নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’ এখন এগিয়ে নেবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সংগঠনটি।
উপসহকারী প্রকৌশলী মোহ্ম্মদ হান্নান খান বলেন, ‘আমি এফডিসির মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার। আমাদের ১১ সদস্যের একটা কমিটি ছিল। এঁদের সবাই চাকরির মেয়াদ শেষ করে চলে গেছেন। গত বছর গেছেন সিকিউরিটি আব্দুল মান্নান, গত নভেম্বর মাসে গেছেন লাইট ম্যান ইসমাইল হোসেন। এখন শুধু আমিই ছিলাম মুক্তিযোদ্ধা, এফডিসির মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য। আগামী ৩১ তারিখ আমিও অবসরে চলে যাচ্ছি। এরপর আর এই সংগঠনে কোনো মুক্তিযোদ্ধা থাকছে না।
আমাদের এই সংগঠনে যাঁরা সদস্য ছিলেন তাঁরা সবাই এফডিসির চাকরিজীবী জানিয়ে মোহম্মদ হান্নান খান বলেন, আমরা যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ সরাসরি করেছি এবং এখানে চাকরি করি শুধু তাঁদের নিয়েই এই সংগঠন করা হয়েছে।
এফডিসির আরো পরিচালক, শিল্পী, কলাকৌশলী রয়েছেন যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের কেন এই সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়নি, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা যাঁরা এফডিসিতে সরকারিভাবে চাকরি করি তাঁদের নিয়েই এই সংগঠন করেছিলাম। যে কারণে পরিচালক, শিল্পী, কলাকৌশলী নেওয়া হয়নি। তা ছাড়া উনারাও আমাদের এখানে এসে আগ্রহ দেখাননি। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবিনি।
আগামী ৩১ তারিখ আপনি চলে যাওয়ার পর এই সংসদ মুক্তিযোদ্ধা শূন্য হবে। তা হলে সংগঠন কীভাবে চলবে, জানতে চাইলে মোহম্মদ হান্নান বলেন, “এটা আসলে এখন হয়ে যাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’। আমাদের যাঁরা সদস্য ছিলেন তাঁদের সন্তানরা এই সংগঠন চালাবে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি, আমি যাওয়ার আগেই বিষয়টি ফয়সালা করে যাব।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন