কিংবদন্তি খান আতাউর রহমানকে নিয়ে হঠাৎই বিতর্কিত এক মন্তব্য করেছেন নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। সেই সম্পর্কে জানতে খান আতার ছেলে সঙ্গীতশিল্পী আগুনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। মগবাজারের বাসা থেকে তখন তিনি যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ বেতারে পথে তার সাথে কথা বলেছেন আলমগীর কবির

হঠাৎ করেই নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু আপনার বাবাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। এসব কথা কেন বলছেন বলে মনে হয় আপনার?

-নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু চাচার মতো এ রকম বিজ্ঞ একজন মানুষ হঠাৎ করে কেন এসব আজগুবি কথা বলছেন সেটা উনিই ভালো জানেন। ডকুমেন্ট দিয়ে কথা বলুক উনি- তাহলে সবার সঙ্গে আমিও জানতে পারবো আমার আব্বা খান আতাকে নিয়ে উনি কেন এসব বলা শুরু করলেন...

আপনার সাথে কথা হয়েছে ওনার?

-নাহ! আমি একবার ভেবেছিলাম ওনাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবো, পরে কেন জানি আর পাঠানো হয়ে ওঠেনি।

প্রথম যখন দেখলেন এই নিউজটা...

-প্রথমে তো দেখিইনি নিউজ। বিকেলের দিকে সোহেল আরমান ফোন দিয়ে আমাকে বলল- ‘দোস্ত, খান আতা চাচাকে নিয়ে তো নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু এটা সেটা বলেছেন... রাজাকার বলেছেন।’ আমি বললাম- ‘তাই নাকি? লিংকটা পাঠা তো!’ বিকজ কিছু না দেখে আমি কেন হুট করে কথা বলবো? আমি ভাই খান আতার পোলা। আমি কি রাস্তা থেকে উইঠা আসছি যে শুনুম আর লাফ দিমু?

তো লিংক দেখলেন?

-হ্যাঁ। লিংক দেখার সাথে সাথে ভাবা শুরু করলাম- বাচ্চু চাচার মতো এ রকম একজন নাট্যব্যক্তিত্ব কেন এটা বললেন? এখনো ভাবছি...

ভেবে কিছু বের করতে পারলেন?

-এখনো না। ওনার মতো একজন বিরাট মানুষ কেন এমনটা বলছেন, কোনো মোটিভ আছে কি না সে সম্পর্কে হুটহাট করে কিছু বলা আমার ঠিক হবে না। কারণ ওই যে বললাম, আমি ‘খান আতা’র ছেলে।

‘খান আতা’র মতো বিশাল একজন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে বলার আগে বিরাট মানুষদের আরেকটু ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত মনে করেন কি আপনি?

-অবশ্যই। ওনার তো আরেকটু ভাবনা-চিন্তা করে কথা বলা উচিত বলেই বাঙালি জানে। আমি আমার ফেসবুক প্রোফাইল ‘আগুন খান আসিফুর রহমান)- এ একটা পোস্ট দিয়েছি, সেখানে বিজ্ঞজনদের জন্য আমি দুটো লাইন লিখেছি। আমি চাই তারা এটা জানুক- ‘আমি কিন্তু একাত্তরের আগুন। কখন যে মুখ খুলুম!’

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এফডিসিতে প্রেস কনফারেন্সে কি মুখ খুলবেন?

-এখনো জানি না। তবে আমি যাবো এবং একটা বক্তব্য তো দিবোই। দেশের মানুষদের জন্য কিছু কথা বলবো আমি।

তার আগে নাসির দ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর সঙ্গে আপনি ফোনে কোনো কথা বলবেন কি না ভেবেছেন এমন কিছু?

-আমার আব্বা খান আতা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন ধৈর্য ধারণ করার। আমি হুট করেই কিছু বলবো না ওনাকে।

কাছের একজন মানুষের কাছ থেকে বাবাকে নিয়ে হঠাৎ এ রকম কথা শুনে আপনি কি একটু বিব্রত বা ডিস্টার্বড?

- একেবারেই অল্প একটু বিব্রত। ডিস্টার্বড না! কারণ আমি জানি সামথিং ইজ রং। বাচ্চু চাচার মতো এতো ভালো মানুষ কীভাবে এসব বলতে পারলেন?

আপনার ওনার সাথে রিলেশন কেমন?

-খুবই ভালো।

শেষ কবে দেখা হয়েছে?

-আজম খান যেদিন মারা গেলেন, সেদিন দেখা হয়েছিল। চাচাকে সালাম দিয়ে কথা বললাম।

কখনো কি আপনার আব্বাকে নিয়ে এ রকম কোনোকিছু আপনাকে বলেছেন উনি?

-কখনোই না। আমি গুণীজনদের শ্রদ্ধা করতে জানি। আমাকেও উনি, শিমুল আন্টি খুব আদর করেন। কখনো এ রকম কোনো ভেবে পাইনি যে উনি আমার আব্বাকে নিয়ে এমন কিছু ভাবেন। বরং সবসময় দেখা হলেই আমাকে আদর-উপদেশ দিতেন। ২/৩ মাস আগে একদিন শিমুল আন্টির সঙ্গে দেখা হলো। আমি নতুন একটা নীলা আংটি পরেছি। বললাম সেটা আন্টিকে। সেটা দেখে শিমুল আন্টি বললেন- ‘সাবধানে নীলা পরো, নীলা পরলে কিন্তু সামনে বিরাট বিপদ আসে। তবে সেই বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারলে ভালো কিছু পাওয়া যায়...’

সেই বিপদ কি এটাই?

-আই হ্যাভ নো আইডিয়া! তবে আমি ভিডিও লিংকটা দেখেছি এবং সেটার উত্তরও আমার কাছে আছে। শীঘ্রই আমিও মুখ খুলবো!

আপনি নাসির উদ্দীন ইউসুফকে কোনো ম্যাসেজ দিতে চান?

-না। কেন? বাচ্চু চাচার মতো একজন মানুষকে আমার মতো একজন ক্ষুদ্র গায়ক কী ম্যাসেজ দিবে? আমি ওনার সাথে ঝগড়া করে পারবো নাকি? উনি কতো জ্ঞানী একজন মানুষ, আর আমার তো কোনো জ্ঞানই নেই।