বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, ‘সামনে হয়তো আরও কঠিন সময় আসছে। সরকারি সহায়তার আওতা এবং সময় বাড়ানো না হলে অনেকেই হয়তো গভীর সংকটে পড়বেন। করোনা সংক্রমণের শুরুতে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিপর্যয় নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার যে উদ্যোগ নেয়, প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে, সেটি অবশ্যই ছিল সময়োপযোগী ও কার্যকর। তবে এখনো সে সহায়তা অব্যাহত রাখা উচিত। আমরা তো অক্টোবর মাসেই এ বিষয়ে আবেদন দিয়েছি। কিন্তু এখনো এর কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি।’ গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। রুবানা হক বলেন, কভিডের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রপ্তানি খাত হিসেবে গার্মেন্টসহ পুরো রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। এর আওতায় সহজ শর্তে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয় গার্মেন্ট মালিকদের, যা দিয়ে এ খাতের শ্রমিকদের এপ্রিল-জুলাই চার মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, এ অর্থ ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮টি কিস্তিতে দুই বছরের মধ্যে পরিশোধ করার কথা। এতে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ২ শতাংশ অতিরিক্তসহ মূল টাকা পরিশোধ করার শর্ত দেওয়া হয়। কিন্তু এ অর্থ ৬০ কিস্তিতে ফেরতের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদ ও এক বছরের গ্রেড পিরিয়ড করার জন্য আমরা সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি। এটা করা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় অনেক ব্যবসায়ীই আবারও ঘোর সংকটে পড়বেন।’ ফলে জুনের পর সরকারি সহায়তা পেয়ে তারা যতটুকু ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, সামনে এর চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন