এক মাসের ব্যবধানে প্রধান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা হারালেন ১২ হাজার কোটি টাকা। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে এ অর্থ হারালেন তারা। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯৯০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইতে মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। যা ৩৪ মাস প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড। এরপর কোন সময়েই এত পরিমাণ মূলধনের যোগান মেলেনি ডিএসইতে। বরং মিশ্র অবস্থায় অব্যাহত রয়েছে লেনদেন ও মূলধনের পরিমাণ এবং সূচকের অবস্থান।
ধারাবাহিকতায় গত এক মাসের ব্যবধানে প্রধান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন ১২ হাজার কোটি টাকা। মার্কেট শেয়ার পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি মাসের ১ অক্টোবর ডিএসইর মূলধনের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। যা ২৯ অক্টোবর এসে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৯১ হাজার ২৫১ কোটি টাকায়। এতে ৪ সপ্তাহ অর্থাৎ এক মাসে মোট মূলধন কমে ১২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা । এছাড়া চলতি মাসের ১৮ থেকে ২২ অক্টোবর ৫ কার্যদিবসে আগের সপ্তাহ থেকে মূলধনের পরিমাণ কমে ২ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। যা পরের সপ্তাহের ২৯ অক্টোবর শেষ কার্যদিবসে আরো কমে ৫ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা।
এদিকে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে এ অর্থ হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। মূল্যসূচকের বড় পতনের সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্য দিয়ে গত সপ্তাহ শেষ করেছে দেশের শেয়ারবাজার।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ২৫ অক্টোবর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন কমে প্রায় ২ হাজার শেয়ার। সূচকের নিম্নমুখি প্রবণতায় মূলধন কমে ৩ হাজার ২২০ কোটি টাকা।
২৬ অক্টোবর সরকারি বন্ধ থাকায় ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দ্বিতীয় কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ও সূচকের অবস্থান স্বাভাবিক থাকলেও আগের দিনের তুলনায় মূলধন আরো কমে ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা।
তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার প্রধান সূচক কমলেও লেনদেন বাড়ে প্রায় ২ হাজার শেয়ারের। তবে আগের ধারাবাহিকতায় মূলধন কমে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
যদিও ২৯ অক্টোবর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন কমলেও মূলধন বাড়ে ২ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে এদনি সূচক ছিল উর্ধ্বমুখী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন