পুঁজিবাজারের ব্যাংকিং খাতের তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির মুনাফা বাড়লেও ডিভিডেন্ড ঘোষণায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি (সমন্বিত) আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.০৬ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ২.৭৮ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছে ০.২৮ টাকা বা ১০.০৭ শতাংশ।
কিন্তু আলোচিত হিসাব বছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ ইস্যু মূল্যে প্রত্যেকটি শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানিটি ১ টাকা ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩১.৪৭ টাকা। যা আগের বছর একই সময় হয়েছিল ২৯.৩৮ টাকা।
আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ কার্যকরী অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.১৪ টাকা। যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬.৮১ টাকা (নেগেটিভ)।
ডিভিডেন্ড অনুমোদনে আগামী ২৫ জুন কোম্পানিটির ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ মে।
ডিএসই ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার কোটি টাকা টাকা অনুমোদিত মূলধনধারী ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। বুধবার দিনশেষে কোম্পানিটির সমাপনী বাজার দর ছিল ২৬.৩০ টাকা।
উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল পরিচালনা পর্ষদ সভায় পদত্যাগ করেন ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আরাস্তু খান। তার পদত্যাগের পর নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেন ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল হাসান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন