জলাধরে দুর্ঘটনাবশত দামি মোবাইল পড়ে যায় এক সরকারি কর্মকর্তার। তবে তা উদ্ধার করতে তিনি যা করেছেন তাতে রীতিমতো অনেকেরই চোখ কপালে উঠবে। তিনদিন ধরে ওই ব্যক্তির নির্দেশনার জলাধর থেকে ২১ লাখ লিটার পানি সেচে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার ভারতের ছত্তিশগড়ের। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহারে এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইতোমধ্যে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি তার সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে অনুমতি নিয়েছেন এবং জলাধারের পানি তেমন কাজে লাগানোর মতো ছিল না।
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, রাজেশ বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি কানকের জেলার কইলিবেদার একজন খাদ্য পরিদর্শক। তিনি খেরকাত্তা বাঁধে ছুটি কাটাতে যান। কিন্তু হুট করেই তার এক লাখ রুপি মূল্যের স্মার্টফোন জলাধারে পড়ে যায়। সেটি ১৫ ফিট পানিতে পড়ে যায় এবং স্থানীয়রা উদ্ধারে নানা তৎপর চালায়।
তবে এই প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ হয় তখন তিনি দুইটি ৩০ এইচপি ডিজেল পাম্প লাগিয়ে জলাধরের পানি কমিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন। এরপরেই তিনদিন ধরে জলাধরের ২১ লাখ লিটার পানি সেচে ফেলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডিজেপ পাম্প দিয়ে ওই জলাধরের পানি সেচের কাজ চলে।
এরপর এক অভিযোগের ভিত্তিকে দেশটির সেচ ও পানিসম্পদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং এমন কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। তবে সেইসময় পর্যন্ত সেই বাঁধের পানির স্তর ৬ ফিট কমে যায়।
প্রিয়াঙ্কা শুক্লা নামে ওই কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজেশকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পানি একটি অপরিহার্য সম্পদ। এটি এভাবে নষ্ট করা যায় না।
রাজেশ বলেন, সেলফি তোলার সময় তার হাত থেকে ওই ফোন জলাধরে পড়ে যান। তবে তিনি দাবি করেছেন, তার সরকারি বিভাগের তথ্য থাকায় তিনি ফোন উদ্ধারে এমন কাজ করেছেন। তবে শেষমেশ ফোন উদ্ধার হলেও তিনদিন ধরে পানিতে থাকায় সেটি আর কাজ করছে না বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন