পেনশন সংস্কার নিয়ে উত্তাল ফ্রান্স। সংসদকে পাশ কাটিয়ে পেনশনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তবে তার এ সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি দেশটির সাধারণ মানুষ ও আইনপ্রণেতারা। এর ফলে সংসদে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রেসিডেন্টকে। তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
রবিবার (১৯ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার (২০ মার্চ) ম্যাখোঁ ও তার সরকারের ওপর অনাস্থা ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে ভোট হলেও তার সরকারের পতন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদিও অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টিই বিব্রতকর।
জানা গেছে, অনাস্থা ভোট আয়োজনের প্রথম প্রস্তাব দেয় মধ্যপন্থী দল লিখঁ। এতে সমর্থন জানায় উগ্র ডানপন্থী নুপেস জোট। এর কয়েক ঘণ্টা পর অপর উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি পার্টি আরেকটি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেয়। সংসদে এ দলটির ৮৮টি আসন রয়েছে।
গত বছর নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ম্যাখোঁর দল। তবে তা সত্ত্বেও একাধিক-দলের প্রস্তাবিত এ অনাস্থা ভোট হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ এজন্য ডানপন্থী, বামপন্থী ও মধ্যপন্থীসহ সব দলের এক জোট হতে হবে। কনজারভেটিভ লঁ রিপাবলিকান নামের একটি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে এ ধরনের কোনো জোট গড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।
অনাস্থা ভোট সম্পর্কে ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মাইরে সংবাদমাধ্যম লঁ পার্সিয়ানকে বলেছেন, সরকারের পতন ঘটানোর মতো কোনো জোট গঠিত হবে না। কিন্তু এটি একটি সত্যের মুহূর্ত হবে। পেনশন সংশোধন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সরকার পতনের কোনো উপযুক্ত কারণ হতে পারে না।
গত সপ্তাহে ফ্রান্সে পেনশনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ বছর করা হয়। এরপরই আন্দোলনে নামে মানুষ। গত তিন দিন ধরে এ নিয়ে দেশটিতে অচলাবস্থা চলছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন