১১ দিনের ব্যবধানে ৩১ জানুয়ারি ফ্রান্সের আটটি বৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়নের পাশাপাশি ২৫ লাখের অধিক ফরাসি জনগণ পুনরায় বিক্ষোভ করেছে। ফ্রান্সের প্রভাবশালী পত্রিকা লা মন্ডের বরাত দিয়ে অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়ন সিজিটি জানায়, শুধু রাজধানী প্যারিসেই প্রায় পাঁচ লাখ লোক এই বিক্ষোভে অংশগ্ৰহণ করে, যা ছিল গত ১৯ জানুয়ারির চেয়ে প্রায় এক লাখ বেশি।
রাজধানী প্যারিসের প্লাস-দু-ইতালি থেকে ইনভ্যালিড পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এলাকার পুরোটাই ছিল আন্দোলনকারীদের দখলে। ফ্রান্সজুড়ে মোতায়েন ছিল ১১ হাজার পুলিশ, যার মধ্যে চার হাজার ছিল রাজধানী প্যারিসে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আন্দোলনকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ, জলকামান, কাঁদানেগ্যাস ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। আন্দোলনকারীরাও পুলিশের ওপর পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে কেউ কেউ আশপাশের ব্যাংক ও দোকানপাটে হামলা চালিয়েছে। পুলিশ এসময় ৩০ আন্দোলনকারীকে আটক করেছে।
রাজধানী প্যারিস ছাড়াও মার্সাই, লিও, লিল, তুলুজ, নিস্, বোকদোসহ ফ্রান্সের বড় শহরগুলোতেও একযোগে আন্দোলন ও বিক্ষোভ হয়েছে। এদিন ফ্রান্সের স্কুল-কলেজের পাশাপাশি প্রায় সকল গণপরিবহন বন্ধ ছিল এবং বাতিল করা হয় অধিকাংশ ফ্লাইট।
বিশ্লেষকদের মতে, ম্যাক্রোঁ প্রশাসনকে এত বড় আন্দোলনের ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বরন্ জাতীয় সংসদে অবসরের বয়সসীমা ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করার প্রস্তাব উত্থাপন করার পরিপ্রেক্ষিতে আটটি শ্রমিক ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনের ডাক দেয়।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন