এবার আফগানিস্তানে দাড়ি কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান। দেশটির হেলমান্দ প্রদেশে সেলুনে দাড়ি কাটার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দাড়ি কাটা ইসলামিক আইনের লঙ্ঘন। যারা এই কাজ করবে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে তালেবোনের ধর্মীয় পুলিশ। এদিকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কয়েকজন নাপিতও একই ধরনের নির্দেশ পেয়েছেন বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত মাসে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবান উদার শাসন নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে নাপিতদের দাড়ি কাটার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা কঠোর নীতিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ধারণা অনেকের। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশের সেলুনগুলোতে দেওয়া নোটিশে নাপিতদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, চুল বা দাড়ি কাটার বিষয়ে শরীয়াহ আইন অনুসরণ করতে হবে। তালেবানের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘এ বিষয়ে কারো অভিযোগ করার অধিকার নেই।’
কাবুলের এক নাপিত বলেছেন, ‘যোদ্ধারা প্রায়ই আসছেন এবং আমাদের দাড়ি কাটা বন্ধের নির্দেশ দিচ্ছেন। তাদের একজন আমাকে বলেছেন, আমাদের ধরার জন্য তারা ছদ্মবেশে আসতে পারেন।’
কাবুলের অন্যতম বড় একটি সেলুনের একজন কর্মী জানান, তাকে সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন করে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমেরিকান স্টাইল’ বন্ধ করতে। কারো দাড়ি ছাটা বা শেভ করতেও নিষেধ করা হয়েছে তাকে।
তবে নতুন নির্দেশনার পর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নাপিত জানিয়েছেন, তালেবানের নতুন নিয়মের কারণে তাদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।
অন্যদিকে ক্ষমতা দখলের পর বিরোধীদের ওপর কঠোর হয়েছে তালেবান। গত শনিবার হেরাত প্রদেশে অপহরণের অভিযোগে চারজনকে গুলি করে হত্যা করেছে তালেবান যোদ্ধারা। এরপর তাদের মরদেহ রাস্তায় ঝুলিয়ে দিয়েছে তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন