নিহত আজাদঢাকার ধামরাইয়ে ব্যবসায়ী আজাদ পাওনা টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। রাতভর তার কোন খোঁজ না পেলেও গতকাল সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বাথুলি বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেনশ। পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ বলছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে না সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে তা লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ধামরাইয়ের কিশোরিনগর গ্রামের বাবুল বিশ^াসের ছেলে আজাদ বিশ^াস (২৮) বাথুলি কেবিসি কারখানায় চাকরির পাশাপাশি ধানের কুড়া ও ভোজ্যতেলের ব্যবসা করতেন। মাস তিন আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ধামরাইয়ের কেবিসি ও গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানায় ধানের কুড়া সরবরাহ করতো। আর এ ব্যবসা করার জন্য বাবুল বিশ্বাস কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ তুলে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়েছিলেন ছেলে আজাদকে। গত সোমবার বিকেলে আসরের নামাজ পড়ে নিজ বাড়ি থেকে আজাদ পাওনা টাকা আনার জন্য সাভারের নয়ারহাট যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
সারা রাত সে আর ফিরে আসেনি। আর কার কাছে টাকা পান তা বলে না যাওয়ায় ওই খোঁজও করতে পারেনি পরিবারের লোকজন। তবে তার বাবা বাবুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যার পর ছেলের সঙ্গে মোবাইলে আমার কয়েক দফায় কথা হয়েছে। সব শেষে রাত পৌনে ৯টায় আজাদ আমাকে বলেছে, টাকা দেই দিচ্ছি করে আমাকে ঘুরাচ্ছে। আমি বেশি কথা বলতে পারছি না, বিপদে আছি, আমাকে নয়ারহাট থেকে ধামরাই নিয়ে যাচ্ছে। এ কথা বলার পর আর মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি আজাদ। এরপর সকালেই খবর পান ধামরাইয়ের বাথুলি বাসস্ট্যান্ডের পাশে ছেলের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে আছে। তবে পরিবারের দাবি, যাদের কাছে টাকা পাবে তারাই আজাদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ সড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে।
এব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত কোন গাড়ির চাপায় মারা গেছে আজাদ বিশ্বাস। তবে কেউ যদি তাকে হত্যা করে থাকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন